কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

কলকাতায় পালিত হবে বিশ্ব কিডনি দিবস, উদ্যোগী ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ

March 9, 2022 | 2 min read

মানবদেহের ছাকনি হল কিডনি। শরীর সচল রাখতে কিডনির ভূমিকা অপরিসীম। মানবদেহে কিডনির গুরুত্ব ও কিডনির রোগ সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর মার্চ মাসে কিডনি দিবস পালন করা হয়। এবার কিডনি দিবস পালিত হবে কলকাতাতেও। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ কলকাতার ডিরেক্টর অপূর্ব ঘোষ জানিয়েছেন, কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তারা ১০মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপন করবেন। তাই নিয়ে ৮ই মার্চ কলকাতায় একটি সাংবাদিক করে এই সংস্থা।

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যাগে প্রতি বছর কিডনি দিবস উদযাপন করা হয়। ২০০৬ সালে প্রথমবারের জন্য বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপনের সূচনা হয়েছিল। এ বছর বিশ্ব জুড়ে ১০ই মার্চ কিডনি দিবস পালিত হবে। এ বছরের বিশ্ব কিডনি দিবসের বিষয় “সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য”।

সুস্বাস্থ্যের জন্য কিডনি স্বাস্থ্যের দেখাভাল করা একান্ত প্রয়োজন। বিশ্বে প্রতি দশ জনে একজন কিডনির কোন না কোন অসুখে আক্রান্ত। প্রতি ১০ জন কিডনি রোগীর মধ্যে ৯ জনই নিজেদের রোগ সম্পর্কে জানেনই না। এখানে জিতে যাচ্ছে রোগ। সচেতনতার অভাবে মারা যাচ্ছেন মানুষ। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাই কিডনি অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ কলকাতার শিশু নেফ্রোলজি বিভাগ, শিশুদের কিডনির অসুখ নিয়ে চিন্তিত। তাই বিশ্ব কিডনি দিবসে তারা এক অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছেন।

শিশুদের কিডনি অসুখ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এক মাসব্যাপী “প্রয়াস” নামের এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা। একদল ডাক্তার ফিউচার হোপ স্কুলে যাবেন এবং সেখানকার বাচ্চাদের ব্লাড প্রেসার মাপার মাধ্যমে কোন শিশু কিডনির কোনরকম সমস্যা আছে কিনা তা অনুসন্ধান করবেন। পথ শিশুদের জন্যও উদ্যোগ নিচ্ছেন ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ কলকাতা। যাদের সমস্যা ধরা পড়বে তাদের ওপিডিতে নিয়ে আসা হবে।

কিডনি রোগ নিয়ে সচেনতা বাড়াতে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের তরফে ওই দিন স্নাতকোত্তর স্তরের ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে অনলাইন কুইজের আয়োজন করা হয়েছে। ওইদিন চিকিৎসক, বিখ্যাত মানুষেরা কিডনি স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বোঝাতে রঙিন স্লোগান লেখা ব্যানার, বেলুন ইত্যাদি নিয়ে মিছিল করবেন। কিডনি অসুখের সঙ্গে লড়াই করা যোদ্ধাদের সম্মানিত করবেন তারা।

ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের ডিরেক্টর অপূর্ব ঘোষ বলেন,” কিডনি আক্রমণকারী রোগ জীবনযাত্রার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আক্রান্তের জীবনের মেয়াদ কমিয়ে দেয়, সমাজের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে তীব্র প্রভাব বিস্তার করে। কিডনি প্রাপ্ত বয়স্কদের অসুখ, এমন প্রচার থাকলেও দেখা যাচ্ছে শিশুরাও আজকাল কিডনির অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিডনির অসুখের সঙ্গে লড়াইয়ের মুল মন্ত্র হল সচেতনতা, একমাত্র তবেই পরিপূর্ন শৈশব ও সুন্দর জীবন পাওয়া সম্ভব।”

ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ কলকাতার শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজীব সিনহা এদিনের সাংবাদিক সম্মলনে শিশু শরীরে কিডনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও পেডিয়াট্রিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান জয়দেব রায় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Institute Of Child Health, #World Kidney Day

আরো দেখুন