রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সম্পন্ন অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর ইন্টারভিউ, গতি পাচ্ছে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়া

March 11, 2022 | 2 min read

কোভিড সতর্কতা মেনেই প্রক্রিয়া। তারপরও তিন মাসের মধ্যে এক হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ সম্পন্ন করল কলেজ সার্ভিস কমিশন। সহকারী অধ্যাপক পদে সফল প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, গবেষণা এবং কলেজ শিক্ষক পদে আবেদনের যোগ্যতা পরীক্ষা স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এর ফলপ্রকাশেও বেশি দেরি নেই। ইউজিসির তরফে ছাড়পত্র পেলে এপ্রিলের শেষেই হতে পারে ফলপ্রকাশ। তার মাঝেই নিয়োগে এই গতি আশার আলো দেখাবে চাকরিপ্রার্থীদের।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, সাধারণত দিনে পাঁচটি করে ইন্টারভিউ বোর্ড সচল রাখাই দস্তুর। কিন্তু কোভিডের জন্য এবার তা ছিল মাত্র দু’টি। তার উপর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং কোভিড বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার জন্যও টানা কিছুদিন ইন্টারভিউ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে কমিশন। কমিশনের এক কর্তা জানান, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ভূগোল সহ ন’টি বিষয়ের ইন্টারভিউ আপাতত চলছে। পরের মাস থেকে ১১টি বিষয়ের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া যাবে। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে বিষয় এবং প্রার্থীর সংখ্যা।

গত বছর শেষ হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ২ হাজার ২০০ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করা গিয়েছে। সেই সময় নতুন কিছু কলেজে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। আর এখন যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তার সবটাই অবসরের কারণে। তাই এবার শূন্যপদ ২ হাজারের কাছাকাছি হওয়ার কথা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজগুলিতে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তার হিসেব নিয়ে রাখা হবে পুজোর আগে। তার ভিত্তিতেই হবে নিয়োগ। গতবার বায়োটেকনোলজি, মলিকিউলার বায়োলজির মতো কিছু বিষয়ে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। এবার সেগুলির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। শূন্যপদ তৈরি হলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্তা। আবার প্রায় ৫০০টি শূন্যপদে গতবার যোগ্য প্রার্থী মেলেনি। সেগুলিও এবারের তালিকায় যোগ হবে।

স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর এবং সেট বা সর্বভারতীয় নেট উত্তীর্ণ হলে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদন করা যায় (পিএইচডি থাকলে নেট বা সেট দিতে হয় না)। কমিশন সেই সেটের ফলও আগামী মাসের শেষের দিকে প্রকাশ করার ব্যাপারে আশাবাদী। সেটে আবেদনকারী ছিলেন প্রায় ৮৩ হাজার। এবারই প্রথম বাংলাতেও প্রশ্নপত্র হয়েছে। তাই বাংলা মাধ্যমের পরীক্ষার্থীরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকবেন বলে কমিশন আশাবাদী। এদিকে, প্রায় ৩৩ হাজার প্রার্থী অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদপ্রার্থী। কমিশনের চেয়ারম্যান দীপককুমার কর আশা করছেন, বছর শেষ হওয়ার আগেই সমস্ত ইন্টারভিউ শেষ করে ফেলা যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Interview, #professor

আরো দেখুন