রাজবংশী স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, শুরু হবে পঠনপাঠন
প্রাথমিক স্তরে রাজবংশী ভাষায় পঠনপাঠন চালু করার জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে ১৯৮টি রাজবংশী স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাবে থমকে ছিল পঠনপাঠন। কিন্তু এবার রাজবংশী ভাষার স্কুলগুলোকে সচল করতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। স্কুলগুলোতে প্রায় ৮০০ জন প্যারাটিচার ও চুক্তিভিত্তিক অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার।
৯ই মার্চ রাজ্য সরকারের তরফে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হয়েছে। নিয়োগের নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলা প্রশাসন, শিক্ষাদপ্তরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলে এসেছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্কুলগুলোকে এই নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। রাজবংশী স্কুলগুলো সচল হওয়ার সম্ভাবনায় ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া। বিশেষ করে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে অপরিসীম খুশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল দে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রেটার কোচবিহারের নেতা বংশীবদন বর্মন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় থাকেন। উক্ত জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহারেই বিপুল সংখ্যক রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।
উত্তরবঙ্গে এত রাজবংশী ভাষাভাষির মানুষ থাকলেও, এই ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য এতদিন সরকারিভাবে কোন স্কুল ছিল না। তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভও ছিল। রাজবংশী ভাষায় পঠনপাঠন চালুর দাবিতে, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছিল। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ১৯৮ টি অর্গানাইজড স্কুল চলছিল। কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ১৯৮ টি স্কুলকে রাজ্য সরকারের অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন পায় ওই ১৯৮ টি স্কুল। এবার জারি হল শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশিকা।