‘মহামান্য আপনি…’ কবিতায় ধনখড়কে তোপ শোভনদেবের
রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যপালকে নিয়ে কবিতা লিখলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ‘স্তব্ধ পৃথিবী’ বলে একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে বর্ষীয়ান মন্ত্রীর। সেখানে ‘মহামান্য’ বলে একটা কবিতা রয়েছে। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।
যদিও সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু তীব্র কটাক্ষ রয়েছে কবিতার ছত্রে ছত্রে। এই কবিতার বইয়ের ৬২ নম্বর পাতায় রয়েছে ‘মহামান্য’ কবিতা। যেখানে যাবতীয় ক্ষোভ–ব্যঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। এই কবিতা এখন প্রকাশ্যে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে। দু’দিন আগে বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভে সভা ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাতে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতো। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচতুরভাবে তা হতে দেয়নি।
ঠিক কী লেখা আছে ওই কবিতায়? ১৯ লাইনের এই কবিতায় লেখা হয়েছে, ‘মহামান্য আপনি নিশ্চয়ই অসামান্য, আইনবিদ হিসেবে হয়ত অনন্য। কিন্তু বিচার বোধে খামতি চোখে পড়ে সময় জ্ঞানেও মুখোশ খুলে পড়ে। যুদ্ধের সেনাপতির যদি ভুল কোন হয় সময়টা নিশ্চয়ই ভুল ধরার নয়। সময় অনেক পাওয়া যাবে যুদ্ধে জয়ী হয়ে তখন না হয় কাঁটাছেড়া করবো সময় নিয়ে। কে ভুল কে ঠিক সময় বলে দেবে তখন না হয় মহামান্য হিসাব বুঝে নেবে। যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য গড়ে তুলতে হবে ঐক্য, এখন না হয় বন্ধ থাক যা কু–বাক্য। মহামান্য অসীম ক্ষমতা আপনার, হাতে স্বয়ং রাষ্ট্রনেতা আপনার সাথে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন, রাজ্যকে বাঁচাতে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে সেই শুভ প্রভাতে।’
এই কবিতার লাইনে বোঝা যাচ্ছে ইঙ্গিত কার দিকে। কিন্তু কারও নাম উল্লেখ নেই। তাই প্রশ্ন উঠছে, কে এই মহামান্য? কেন এই কবিতা লিখলেন কৃষিমন্ত্রী? শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘করোনাভাইরাসের জেরে মানুষকে নিদারুণ কষ্ট পেতে হয়েছে। রাজ্যের মানুষের সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আর রাজ্যের মানুষের ডাকে সাড়া না দিয়ে, সাংবিধানিক পদে থাকা এক ব্যক্তি নিজের মতো করে আচরণ করেছেন। রাজ্যের প্রয়োজনে তাকে সাহায্য করতে দেখা যায় না। তাই এই কবিতা লেখা।’ এই কবিতা বোঝাটা মানুষের উপর ছেড়ে রেখেছেন তিনি।