দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন! দোলে পুরুলিয়ার সব বুকিং ফুল!

March 11, 2022 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: Economic Times

আগুন রাঙা পলাশের টানে দোলের আগে থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে অযোধ্যা পাহাড় সহ পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। উইক এন্ডের ছুটিতে দোল উৎসবের দিনে হোটেলগুলিতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা নেই। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সংস্থার আয়োজিত পলাশ পরব এবং দোলের নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছেন পর্যটকরা। এবার পলাশ ঠিক মতো ফুটেছে কি না তা বারবার খোঁজ নিচ্ছেন ভিন জেলা থেকে আসা পর্যটকরা। 


পুরুলিয়া জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা প্রায় সারাবছরই লেগে থাকে। আগে শুধুমাত্র শীতের মরশুমে অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে আসার প্রবণতা ছিল। গত কয়েকবছরে তা অনেকটা‌ই পাল্টে গিয়েছে। অযোধ্যা-জয়চণ্ডী সহ পুরুলিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বছরের বিভিন্ন সময়ই পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। শীতের মরশুমের শেষের দিকে গত কয়েকবছরে পুরুলিয়া জেলায় পলাশ ফুল দেখতে আসার ঝোঁক বেড়েছে বলে মানছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটন শিল্পে জড়িত মানুষজন। তবে চলতি বছরে কার্যত তা জনসুনামির আকার নিতে চলেছে।


বাঘমুণ্ডি এলাকায় ট্যুর গাইডের কাজে যুক্ত বিশ্বনাথ কর বলেন, দোলের সময় অযোধ্যা পাহাড়, পাহাড়তলি সহ বাঘমুণ্ডিতে কোনও হোটেল ফাঁকা নেই। অনেককেই জায়গা দিতে পারছি না। পর্যটকরা ফোন করে জানতে চাইছেন, পলাশ ফুল দেখতে পাবেন কি না? ফুল কতটা ফুটেছে? দোলের সময় কতটা রঙিন থাকবে? পর্যটকদের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ছবিও পাঠাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, পুরুলিয়া জেলার যেকোনও প্রান্তে গেলেই পলাশের দেখা মিলবে। তবে মাঠার জঙ্গলে, চড়িদা থেকে বীরগ্রাম যাওয়ার রাস্তায়, কালীমাটি থেকে ঝালদা যাওয়ার রাস্তায় পাহাড় ঘেঁষা এলাকায় আগুন রাঙা পলাশের সৌন্দর্যটাই আলাদা। কোন এলাকায় গেলে পলাশ জঙ্গল পাওয়া যাবে, সেই ঠিকানাও পর্যটকদের জানানো হচ্ছে। 


বাঘমুণ্ডি এলাকায় থাকা একটি হোটেলের মালিক শিশির কুমার মাহাত বলেন, অনেক আগে থেকেই হোটেল সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে গিয়েছে। তারপরেও গত ১০ দিন ধরে কত যে ফোন এসেছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। কোনও রুম ফাঁকা আছে কি না, জানতে চাইছেন। তাঁদের দোলের সময় রুম দিতে পারছি না, খারাপ লাগছে। তবে কিছু করার তো নেই। 


তিনি আরও বলেন, একাধিক হোটেলে পলাশ পরব ও দোল উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের হোটেলও ওইদিন ছৌনাচ দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। 


অযোধ্যা পাহাড়তলির বাড়েরিয়া গ্রামের গাড়ির চালক কৈলাশ মাহাত বলেন, পর্যটকরা ফোন করে কোন এলাকায় পলাশ ফুল বেশি দেখতে পাওয়া যাবে, তা জানতে চাইছেন। তাই নিজেরা কিছু এলাকা চিহ্নিতও করে রেখেছি। 


তবে শুধুমাত্র অযোধ্যা পাহাড় এলাকা নয়, জয়চণ্ডী, বড়ন্তি, গড় পঞ্চকোট এলাকাতেও হোটেলগুলিতে দোলের সময় পর্যটকদের রুমের চাহিদা তুঙ্গে। অনেকেই বাইরে থেকে টিম করে আসছেন পুরুলিয়ার পলাশ জঙ্গলে দোল খেলার পরিকল্পনা নিয়েই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Doljatra, #Tourism, #Purulia, #tourists

আরো দেখুন