পিএফের সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশে নামাল মোদী সরকার, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
২০২১-২২ অর্থবর্ষে কমতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর সুদের পরিমাণ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে কমে সুদের পরিমাণ হতে চলেছে ৮.১ শতাংশ। এর ফলে ফের মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে কোপ পড়তে চলেছে। ১০ বছরে এটাই সর্বনিম্ন সুদ।
বিস্তারিত আসছে…
সূত্রের খবর, আজই সুদের হার কমার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেননা অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পেও সুদের হার কমেছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতেই এবার এই সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে ইপিএফের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদের হার পর্যালোচনা করে। ২০১২-১৩ সাল থেকেই ধাপে ধাপে অনেকবার কমেছে ইপিএফের সুদের হার৷ শুধুমাত্র ২০১৫-১৬ সালে সুদ কিছুটা বেশি ছিল, ৮.৮০ শতাংশ। তারপর থেকে ধাপে ধাপে একাধিক বার এই সুদের হার কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। যা সাত বছরে সর্বনিম্ন ছিল। এবারে আরও কমল এই সুদ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের৷
শনিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিএফের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সিবিডিটি। সিবিডিটি-র এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রকের সিলমোহর পড়লেই চালু হয়ে যাবে পিএফে নয়া সুদের হার। সুদের হার কমায় অনেকটাই সমস্যায় পড়বেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা গচ্ছিত রাখা প্রায় ৬ কোটি চাকুরিজীবী।
২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সুদের হার যথাক্রমে ৮.৭৫ শতাংশ, ৮.৭৫ শতাংশ, ৮.৮০ শতাংশ, ৮.৬৫ শতাংশ, ৮.৫৫ শতাংশ, ৮.৫০ শতাংশ, ৮.৫০ শতাংশ ছিল। এর আগে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে সবচেয়ে কম ছিল ইপিএফও-র সুদের হার। সেই সময় সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরে সেই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।