সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হায়দ্রাবাদের কাছে ৩-১ গোলে হারল এটিকে মোহনবাগান
লক্ষ্য ছিল শেষ চারের প্রথম লেগেই তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ার। কিন্তু ডিফেন্ডারদের ভুল আর স্ট্রাইকারদের বিশ্রী মিসে এক পয়েন্টও জুটল না এটিকে মোহনবাগানের কপালে। ফলে ফাইনালের পথ হয়ে উঠল অত্যন্ত কঠিন।
জামেশদপুরের কাছে হেরে এই মরশুমেও লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরা রয়ে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের। তবে অতীতের হতাশা ভুলে এদিন ফাইনালে পৌঁছনোর প্রথম ধাপ বেশ আক্রমণাত্মক ভাবেই শুরু করেছিলেন রয় কৃষ্ণরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই তৈরি হয় গোলের সুযোগ। উইলিয়ামসের দুর্দান্ত থ্রু থেকে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন কাউকো। কিন্তু বিপক্ষের গোলকিপার কাট্টিমানি তা রুখে দেন। যদিও চার মিনিট পরই ১ গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। হায়দরাবাদের ডিফেন্ডারদের স্টেপওভার করে লো ক্রসে লিস্টন কোলাসো বল এগিয়ে দেন রয় কৃ্ষ্ণর দিকে। যিনি গোল করতে কোনও ভুল করেননি। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে অবশ্য গোল শোধ করে হায়দরাবাদকে সমতায় ফেরান ওগবেচে।
তবে শুধু গোল দিলেন না, গোলের নেপথ্যেই রইলেন নাইজেরীয় ফরোয়ার্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ক্রমাগত আক্রমণে বেসামাল হয়ে যায় বাগান রক্ষণ। ৫৮ মিনিটে সন্দেশ ঝিঙ্গান, তিরির মতো রক্ষণভাগ ভেদ করে ওগবেচে বল এগিয়ে দেন ইয়াসিরের পায়ে। তিনিই বাড়িয়ে দেন ব্যবধান। তবে সমতা ফেরানো তো দূরঅস্ত, আট মিনিট পর আরও একটি গোল হজম করে এটিকে মোহনবাগান।
পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে হলে সহজ সুযোগকে কাজে লাগানো কতখানি জরুরি, তা গত ম্যাচেও টের পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণরা। এদিনও আবার গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন কাউকোরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এভাবে গোল মিস হওয়া নিঃসন্দেহে কোচ ফেরান্দোকে চিন্তায় ফেলবে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তিনটি পয়েন্ট তুলে নিয়ে স্বস্তিতে হায়দরাবাদ। আর উলটো দিকে, ফাইনালে পৌঁছনো বিরাট বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হল এটিকে মোহনবাগানের জন্য। কারণ দ্বিতীয় লেগে শুধু হায়দরাবাদকে হারালেই চলবে না, গোল হজম না করে জিততে হবে বড় ব্যবধানে।