রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চিতা বাঘ মেরে রসনাতৃপ্তি, চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ৩ চোরাশিকারি

March 12, 2022 | 2 min read

চিতাবাঘের চামড়া ছাড়িয়ে মাংস খাওয়া হয় প্রথমে। পরে ছক ছিল চামড়া বিক্রির। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। বনকর্মী এবং এসএসবির হাতে পাকড়াও হল তিন যুবক। হোলির উৎসবের আগে ফাঁসিদেওয়ায় চিতাবাঘ শিকার করা এবং তার চামড়া বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের ফৌদিজোতে বনদপ্তরের টিম অভিযান চালিয়ে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার করে। দুই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেন বনকর্মীরা। পরে তদন্তে নেমে কমলা চা বাগান থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম  মুকেশ কেরকেট্টা, পিতালুস কেরকেট্টা ও তাপস খুড়া। প্রথম দু’জন ফাঁসিদেওয়ার কমলা বাগানের বাসিন্দা। তৃতীয়জনের বাড়ি  মালবাজারের সাইলি বাগানে। ধৃতদের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। 
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদপ্তরের ঘোষপুকুরের রেঞ্জার এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নকে নিয়ে অভিযান চালান। সন্দেহজনক দুই যুবককে জেরা করে তল্লাশি চালানো হয়। তাদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় চিতাবাঘের চামড়া। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, পিতালুস চিতাবাঘ শিকার করে। এরপর সে ওই চিতাবাঘের মাংস খেয়ে চামড়াটি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রির জন্য মুকেশকে দায়িত্ব দেয়। এমনকী ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও নেয়। মুকেশ চিতাবাঘের ওই চামড়া নেপালে বিক্রির ছক কষে। সেইমতো কমলা বাগানে মাসির বাড়িতে বেড়াতে আসা তাপসকে সহযোগী হিসেবে বেছে নেয় মুকেশ। বাইকে করে তারা চিতাবাঘের চামড়া নিয়ে ঘোষপুকুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানেই ওঁত পেতে বসে ছিলেন বনকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এসএসবির জওয়ানরাও। 

প্রাথমিক তদন্তের পর বনদপ্তর জানিয়েছে, মৃত চিতাবাঘটির বয়স প্রায় পাঁচ বছর। ঘোষপুকুরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিতাবাঘের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। এরপর তদন্তে নামি। গোটা বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল। এসএসবি ও আমরা টিম করে অভিযান চালাই। এতে সাফল্যও মেলে। চিতাবাঘের চামড়া সহ প্রথমে দু’জনকে ধরি। তাদের জেরা করার পর তৃতীয়জনের হদিশ মেলে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে চিতাবাঘের চামড়া ও নখ উদ্ধার করা হয়েছে। 

একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস‍্য সন্দীপ সরকার বলেন, শিলিগুড়ি মহকুমার অধিকাংশ চা বাগানে চিতাবাঘ রয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা এই অঞ্চলে আগে কখনও হয়নি। একশ্রেণির মানুষ পশুশিকার করে। পরে মোটা টাকার বিনিময়ে মৃতপ্রাণীর দেহাংশ বিক্রি করে। সবটাই বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী  দণ্ডনীয় অপরাধ। এ নিয়ে বনদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। 
 প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই হাতির দাঁত ও হাতির পাঁজরের হাড় পাচারের অভিযোগে বনকর্মীরা ফাঁসিদেওয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরপর বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের ঘটনায় উদ্বেগে বনদপ্তরের আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#arrest, #Hunter

আরো দেখুন