পেট্রপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম! বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে উৎসাহ দেবে রাজ্য
ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি (CNG) চালিত গাড়ির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং রোড ট্যাক্সে ছাড়ের প্রস্তাব করলো রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, এই সমস্ত যানবাহনের ক্ষেত্রে দু’বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং রোড ট্যাক্স মকুব করা হবে। পরিবহণে বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের বাজেটে এই ছাড় প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহণ নিগমের বাসগুলিকে ইতিমধ্যেই সিএনজি জ্বালানিতে পরিবর্তন করার কাজ শুরু হয়েছে। ডাব্লুবিটিসির (WBTC) ৩০০টি এবং এসবিএসটিসি’র (SBSTC) ১০০টি বাসকে সিএনজিতে পরিবর্তন করার কাজও চলছে। বেসরকারি বাসমালিকদেরও একইভাবে বাসের জ্বালানিতে বদল করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়লেও বাসের খরচ বাড়বে না। সাধারণ যাত্রীদের উপর বাড়তি ভাড়ার বোঝাও চাপবে না। কিন্তু বেশিরভাগ মালিকই খরচের ভয়ে তাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে ট্যাক্স এবং রেজিস্ট্রেশন ফিতে ছাড় দেওয়ায় অনেক পরিবহণ মালিকই এবার সিএনজি গাড়ি নামাতে আগ্রহী হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার উপরও আগ্রহ বাড়বে সাধারণ মানুষের। পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই ৮০টি বৈদ্যুতিক বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে। এরপর ফেম-টু প্রকল্পের ওপেক্স মডেলে আরও ৫০টি বাস দ্রুত নামানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার সিইএসএল-এর (CSL) আরও ২০০০টি ইলেকট্রিক বাস চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই পরিবহণ ডিপোগুলোতে তৈরি করা হচ্ছে চার্জিং স্টেশন।
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের (World Bank) সহায়তায় রাজ্যের জলপথ পরিবহণ সংস্থাগুলির উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হবে। ২৯টি নতুন জেটি নির্মাণ, ২২টি নতুন জলযান তৈরি, ৪০টি স্মার্ট টিকিট গেট বসানো হবে চলতি বছরেই। এছাড়া পরিবহণ দপ্তর পথনিরাপত্তাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সুবিধার্থে ট্রাফিক মার্কিং উপকরণ, রেকার ভ্যান, সিসিটিভি ক্যামেরার উপকরণ লাগানো হবে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিএনজির প্যাকেজ না হলে এই বাস নামানো সম্ভব নয়। শুধু ট্যাক্স বা রেজিস্ট্রেশন ফি’তে ছাড় দিলে হবে না।” একই দাবি সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহারও।