টার্গেট পঞ্চায়েত নির্বাচন, রবিবাসরীয় বিকেলে কলকাতায় ‘পদার্পণ যাত্রা’ আপের
স্বচ্ছ রাজনীতি বেছে নেওয়ার জন্য পঞ্জাবের মানুষকে অভিনন্দন এবং বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্বচ্ছ’ রাজনীতির পদার্পণ। রবিবার বিকেলে গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রা করল আম আদমি পার্টি (আপ)। উদ্যোক্তাদের দাবি, পদযাত্রায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
হাওড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা তথা পদযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা অর্ণব মৈত্র বলেন, ‘‘পঞ্জাবের মানুষকে স্বচ্ছ রাজনীতি বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করার জন্যই পদযাত্রার আয়োজন। পাশাপাশি বাংলার মানুষের কাছে অরবিন্দ কেজরীবালের স্বচ্ছ রাজনীতিকে তুলে ধরা আজকের পদযাত্রার লক্ষ্য। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আমরা স্বচ্ছতার স্বার্থে লড়াই করব।’’
পঞ্জাব বিধানসভায় ১২৭টি আসনের মধ্যে আপ একাই জয়লাভ করেছে ৯২টি আসনে। ভগবন্ত সিংহ মানকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘নোংরা রাজনীতির অবসানে দেশের সব রাজ্যে মানুষের কাছে যাবে আপ।’’ সেই বক্তব্যের সূত্র ধরেই অন্যান্য আরও কয়েকটি রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে আপের তৎপরতা। রবিবার যখন বর্ণাঢ্য রোড শো করে অমৃতসরে মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করছেন কেজরীবাল, মান, ঠিক তখনই বাংলায় নতুন করে পদার্পণ করতে চলেছে আপ। এই উপলক্ষেই গিরীশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আপের পদার্পণ পদযাত্রা।
বাংলায় আপের পদার্পণ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে দিল্লি বিধানসভার ভোটে যখনই কেজরীবালের আপ ভালো ফল করেছে, বাংলায় আপের কর্মী সমর্থকরা নড়েচড়ে বসেছেন। তার পর অবশ্য সবই চুপচাপ। এ বার পঞ্জাবের ফলে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার নির্বাচনী মানচিত্রেও নিজেদের স্পষ্ট ছাপ ফেলতে চাইছে কেজরীবালের দল। একাধিক জেলাতে আপের আগমন বার্তা দিয়ে পোস্টার পড়েছে। তাতে রয়েছে একটি করে ফোন নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলেই মিলবে ‘স্বচ্ছ’ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপায়।
বাংলায় আপের তৎপরতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক দল। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টই জানিয়েছেন, এ রাজ্যে আপের পদার্পণ যাত্রার প্রয়োজন নেই।