চলতি মার্চেই প্রথম কনক্লেভ, আগামী পাঁচ বছরের জন্য “মিশন গোয়া” শুরু তৃণমূলের
সৈকতরাজ্য গোয়ায় প্রথমবারের লড়াইয়ে কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি জোড়াফুল শিবির। নির্বাচনী রাজনীতির নিরিখে পরাজয় আসলেও, প্রথমবারের জন্য লড়েই গোয়ায় ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গোয়ায় তৃণমূল লড়াই জারি থাকবে। এবার সেই কথারই বাস্তবায়ন দেখা গেল।
গোয়া তৃণমূলের সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “গোয়ার মানুষদের নতুন প্রভাতের আলো দেখানোর জন্য চার মাস আগে আমরা গোয়ায় তৃণমূলের পতাকা তুলেছি।” গোয়ার প্রতিটি বাড়িতে তৃণমূলকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদও দিয়েছেন অভিষেক। কাজ সহজ না হলেও, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই গোয়ার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার আগামী পাঁচ বছরের জন্য গোয়ায় লক্ষ্য স্থির করল তৃণমূল। গোয়ার মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্যে আগামী পাঁচ বছর লড়াই করবে তৃণমূল।
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, গোয়ায় ইলেকশন রিভিউ কমিটি তৈরি করছে তৃণমূল। কমিটির প্রধান হিসেবে অশোক তানওয়ার, এবং কো-ইনচার্জ হিসেবে সুস্মিতা দেব এবং সৌরভ চক্রবর্তী দায়িত্ব সামলাবেন। আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ জুড়ে গোয়া তৃণমূলের কর্মী-নেতারা, রিভিউ কমিটির সঙ্গে তাদের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা এককভাবে বা যৌথভাবে ভাগ করে নেবেন। সূত্রের খবর, একাধিক দলীয় অভ্যন্তরীন রিভিউ মিটিংও করবে তৃণমূল। নির্বাচনে দলের এহেন ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করতে তৃণমূল একেবারে গভীরে যেতে চাইছে, গোয়াবাসীর হৃদয় ও মন জিততে আর কোনরকম চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির।
আগামী ২৬শে মার্চ গোয়ায় তৃণমূল তাদের প্রথম কনক্লেভ আয়োজন করতে চলেছে। গোয়ার প্রতিটি তৃণমূল কর্মী, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়া প্রতিটি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এবং তাদের কোর টিমের সদস্যদের সকলকেই এই কনক্লেভের আমন্ত্রণ করা হবে, বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়ায় তৃণমূলের আগামী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে সকলকে এই কনক্লেভে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।