প্রথম দিনেই ‘হিট’ গৌতমের ‘টক টু মেয়র’, অধিকাংশ সমস্যাই জল নিয়ে
শিলিগুড়ি শহরে ডিপ টিউবওয়েল পাতার কাজ শেষ না হওয়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কাছে জানতে চাইবেন মেয়র গৌতম দেব। শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানের পর মেয়র একথা জানান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শহরে দৈনিক ১৩৫ মিলিয়ন লিটার জল সরবরাহ করতে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে। তাছাড়া শহরের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।
গরম পড়তেই শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানের প্রথম দিনই জলের সমস্যা নিয়ে মেয়রের কাছে একের পর এক প্রশ্ন এসেছে। কেউ বলেছেন, সকালে ৯টার পর ১৫ মিনিটের জন্য পানীয় জল আসছে। আবার কেউ বলছেন, জলের সংযোগ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে মিলছে না জল। কেউ কেউ আবার বলেন, রাস্তার কলেও নিয়মিত জল আছে না। শেষে এক নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শহরে দৈনিক জলের চাহিদা ৭৫ মিলিয়ান লিটার। মাঝেমধ্যে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮০-৮৫ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু, বর্তমানে জল উৎপাদন হয় দৈনিক ৫৫ মিলিয়ান লিটার। তাই সমস্যা মেটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এজন্য দৈনিক ১৩৫ মিলিয়ন লিটার জল উৎপাদনের একটি বড় প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা করতে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
এদিন সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টক টু চেয়ারম্যান অনুষ্ঠান চলেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এদিন অনুষ্ঠানে প্রশ্ন এসেছে ৩২টি। যার অধিকাংশই পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের কাছে মেয়র বলেন, পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কিছু জায়গায় ডিপ টিউবওয়েল বসাচ্ছি। শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৮০ লক্ষ টাকায় ডিপ টিউবওয়েল ও ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ অনেকদিন আগে শুরু হয়েছে। সেই প্রকল্প এখনও শেষ করতে পারেনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই)। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে পিএইচই’র সঙ্গে বৈঠক করব। ওই প্রকল্প শেষ না হওয়ার কারণ তাদের কাছে জানতে চাইব। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে আরও কিছু এলাকায় ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে।
এদিন অনুষ্ঠানে জঞ্জাল সাফাই, রাস্তা মেরামত ও বাজার সংস্কার নিয়েও প্রশ্ন এসেছে। সাংবাদিকদের কাছে মেয়র বলেন, ২০১১ সালে বিধানমার্কেট সংস্কারের জন্য ৫০কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। কিছু ব্যবসায়ীর আপত্তিতে সেই প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার ক্ষুদিরামপল্লি বাজার সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে সেখানে সার্ভে করে নকশাও প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে একটি পার্কিংজোন নির্মাণ করা হবে। আগামী মাসেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া হবে। বাজার সংস্কারের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছে অস্থায়ীভাবে বসানো হবে ব্যবসায়ীদের।