রায়দিঘিতে দমকল কেন্দ্রের জন্য চিহ্নিত জমি, তৎপরতা শুরু রাজ্যের
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে হলে জয়নগর থেকে রায়দিঘি পৌঁছতে দমকলের সময় লেগে যায় কয়েকঘণ্টা। ফলে অধিকাংশ সময় আগুন ভয়াবহ চেহারা নেয়। এই সমস্যার সমাধানে একসময় দমকল কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য জমিও চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও তৈরি হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। রায়দিঘিতে অবিলম্বে একটি দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
রায়দিঘির বিধায়ক ডঃ অলোক জলদাতা বলেন, ‘ স্টেডিয়ামের কাছেই ১১ বিঘা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে দমকল কেন্দ্রের জন্য। জেলা প্রশাসন ও দমকল দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।’ দমকল কেন্দ্রের প্রসঙ্গে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘দেখবো বিষয়টি। রাজ্যে আরও কিছু দমকল কেন্দ্র নির্মাণের কাজও চলছে।’
রায়দিঘি থেকে জয়নগরের দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। এলাকায় কোনও আগুন লাগলে দমকলের ইঞ্জিন আসতেই সময় লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায় বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। রায়দিঘি বিধানসভায় ১৭টি পঞ্চায়েত। মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েত ও মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েত। নদীকেন্দ্রিক এলাকা রায়দিঘি। বাসিন্দারা বলেন, নদীর কাছেই নগেন্দ্রপুর, কঙ্কণদিঘি, নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েত এলাকা। এই এলাকায় দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছতে কম করে চারঘণ্টা সময় লেগে যায়। আগুন লাগলে তা নেভাতে হিমশিম খেতে হয়। পুকুর বা নদী থেকে জল এনে আগুন নেভানোর কাজ করতে হয়। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে এই এলাকায় দমকল কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়া হোক। বিধায়ক বলেন, এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। দমকলের গাড়ি চলাচল করার জন্য উপযুক্ত জমি চিহ্নিত হয়েছে। সেখান থেকে গ্রামগুলিতে ঢুকতে অসুবিধা হবে না দমকলের।