রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পড়ল ২০ দিনে, পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে ইউরোপ আছেন বাইডেন
ইউক্রেনে (Ukraine) হামলার ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাশিয়া। ক্রমে আরও ভয়ানক হচ্ছে পরিস্থিতি। ইউক্রেনীয় ফৌজের মরণপণ লড়াই সত্বেও কিয়েভের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে পুতিনের দুর্দমনীয় বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে ইউরোপে ন্যাটো জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউক্রেনে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে ‘নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন’ (ন্যাটো)। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয়ে চলা ওই বৈঠকে যোগ দিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইউরোপ সফরে আসতে পারেন বাইডেন। সূত্রের খবর, মার্চের ২৩ তারিখ হতে চলা ওই বৈঠকে রাশিয়াকে থামাতে সামরিক পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ন্যাটো জোটের অন্যতম সদস্য পোল্যান্ডেও যেতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, ন্যাটো ও ইউরোপের অন্য সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। তবে বাইডেনের সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
বলে রাখা ভাল, ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য দেশ নয়। কিন্তু জোটটির অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে দরবার করেছে কিয়েভ। আর যুদ্ধের অন্যতম কারণও জেলেনস্কি প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। রাশিয়ার হামলার মুখে এতদিন পর্যন্ত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি সেনা নামতে রাজি হয়নি আমেরিকা ও ন্যাটো।
সম্প্রতি ন্যাটো গোষ্ঠীর কাছে আবারও ‘নো ফ্লাই জোনে’র আরজি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার ফের ভারচুয়ালি বিশ্বের উদ্দেশে বার্তা দেন কৌতূকাভিনেতা থেকে নায়ক হয়ে ওঠা জেলেনস্কি। আপাতত রুশ আগ্রাসন ঠেকিয়ে গেলেও পরিস্থিতি যে ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে সেই ইঙ্গিত ছিল অসহায় ওই রাষ্ট্রনায়কের গলায়। কয়েকদিন আগেও ন্যাটো জোটের কাছে ইউক্রেনের আকাশকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ন্যাটো। এহেন সিদ্ধান্তের সপক্ষে ন্যাটো জোটের যুক্তি, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করলে রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তারপরই সেবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জেলনস্কি।