দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী জমানায় বেকারত্বের জ্বালায় বেড়েছে আত্মহত্যা! সংসদে স্বীকার কেন্দ্রের

March 15, 2022 | 2 min read

পাঁচ বছরে বেকারত্বের কারণেই দেশে আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার লোকসভায় এই উদ্বেগজনক তথ্য পেশ করেছে শ্রমমন্ত্রক। দেখা যাচ্ছে, এই ইস্যুতে সারা দেশের নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে বিজেপি শাসিত বহু রাজ্য। এদিন লোকসভায় বেকারত্বের হার নিয়ে অন্য একটি পরিসংখ্যানও পেশ করেছে শ্রমমন্ত্রক। সেই রেকর্ড অনুযায়ী, বেকারত্বের জাতীয় হারের তুলনায় বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই হার বেশি। বেকারত্বের জেরে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে সোমবার সামগ্রিক যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে, তাকে রীতিমতো লক্ষ্যণীয় বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। পরিসংখ্যানগুলি থেকেই স্পষ্ট, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভালো।

দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে দেশে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২ হাজার ২৯৮টি। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২ হাজার ৪০৪টি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে হয় যথাক্রমে ২ হাজার ৭৪১টি এবং ২ হাজার ৮৫১টি। ২০২০ সালে বেকারত্বের কারণে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৫৪৮টি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেই করোনা মোকাবিলায় দেশে লকডাউন জারি করেছিল মোদি সরকার। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ওই বছরে বেকারত্বের কারণে ২২৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। অসমে ২৩৪টি। গুজরাতে ২২৯টি। ওই বছরেই বেকারত্বের জেরে ৭২০টি আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল বিজেপি শাসিত কর্ণাটক। শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথস অ্যান্ড সুইসাইডস ইন ইন্ডিয়া’ (এডিএসআই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই পরিসংখ্যান পেশ করেছেন তিনি।

এদিন অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে অনুসারে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বেকারত্বের জাতীয় হার ৪.৮ শতাংশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত অসম, গোয়া, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যের বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লোকসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন, পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে অনুসারে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার কমেছে।

শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী যখন সংসদে লিখিতভাবে বেকারত্বের হার হ্রাসের কথা বলছেন, তখন পর্যটনমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনায় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মহামারীর আগে প্রায় চার কোটি মানুষ ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিতভাবে সংসদে জানিয়েছেন, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাইম মিনিস্টার্স এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম (পিএমইজিপি)। সোমবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের প্রশ্নের জবাবে এমএসএমই মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভানুপ্রতাপ সিং ভার্মা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে পিএমইজিপি’তে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৪১৫। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে (গত ৯ মার্চ পর্যন্ত) তা বেড়ে হয়েছে ৭৮ হাজার ৫১৩।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi Government, #India, #unemployment, #suicides

আরো দেখুন