ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

নিরালায় সময় কাটাতে ঘুরে আসুন চিলাপাতায়

March 16, 2022 | 3 min read

ক্যামেলিয়া সান্যাল

করোনা থেকে মুক্তির পথে দেশ। ঘরের চার দেওয়ালের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে বিশ্ববাসী। পায়ের তলায় সরষে রাখা বাঙালি এবার মুক্ত বিহঙ্গ। কিন্তু ভয় যেন কোথাও একটা এখনও রয়ে গেছে। সবাই এখন চাইছে একটু নিরিবিলি কোন জায়গায় ঘুরে আসতে। সেক্ষেত্রে জঙ্গলের বিকল্প নেই। আর জঙ্গল বললেই বাঙালির মনে প্রথম যে কথাটি আসে তা হল ডুয়ার্স।

This image has an empty alt attribute; its file name is image-8.png

প্রিয়জনের সাথে ঘনিষ্ট মুহুর্ত কাটাতে চলে যেতে পারেন ডুয়ার্সের অফবিট জায়গায়। সবুজ ঘন জঙ্গল, বন্য প্রাণীর ডাক, আদিমতার মিশেল পেতে ঘুরে আসতে পারেন চিলাপাতার গহীন অরণ্যে।

চিলাপাতা বনের নামকরণ হয়েছে কোচবিহারের কোচ রাজবংশের সাহসী যোদ্ধা ও সেনাপতি চিলা রায়ের নামানুসারে। কথিত আছে তিনি নাকি চিলের মতো ছোঁ মেরে শত্রু নিধন করতেন। সেই থেকে এই অরণ্যের নাম হয় চিলাপাতা।

জঙ্গলের বেপরোয়া আদিমতার ছোঁয়া পেতে আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে ছোট গাড়িতে বেরিয়ে পড়ুন চিলেপাতা জঙ্গল, দূরত্ব মাত্র কুড়ি কিমি। শহর ও লোকালয় পেরিয়ে সুন্দর করে সাজানো চা বাগানের মধ্যে দিয়ে প্রায় দু’ঘন্টা পর পোঁছে যাবেন গন্তব্যে।

চিলাপাতা জঙ্গল

হোটেলের ব্যালকনি থেকে যতদূর দৃষ্টি যাবে শুধুই ঘন সবুজ দিগন্ত বিস্তৃত অরণ্য। কুল, খয়ের গাছের বন একের পর এক পেরিয়ে জঙ্গলের মধ্যে সরু পায়ে চলা পথ। মাঝে মধ্যেই চোখে পড়তে পারে হাতি, চিতার পায়ের ছাপ। ভাগ্য সহায় থাকলে দর্শনও হতে পারে তাদের।

বিশেষ প্রজাতির গাছের জন্য বিখ্যাত

চিকচিক করবে সাদা বালির চর, নদীর জলের উপর রোদের ছটাও ঝিকমিক করবে। তোর্সার ওপারে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। মন চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

This image has an empty alt attribute; its file name is Chilapata-5-scaled.jpg

রাতে হোটেলে বন মুরগির ঝোল ভাত খেয়ে দিন এক আরামের নিদ্রা। ভোর বেলায় উঠে বেরিয়ে পড়ুন জিপ সাফারির জন্য। যেদিন সাফারি করতে চান তার আগের দিন রাতেই কেটে রাখুন টিকিট। হুডখোলা জিপে উপভোগ করুন ‘জঙ্গল রাইড’।

ভোরের আলো একটু ফুটতেই নজরে পড়বে বিচিত্র বর্ণের ময়ূরের দল,রং বেরং এর বন মুরগি আর বুনো শুয়োর। দেখা মিলতে পারে হগ হরিণের। কিছুটা এগোতেই দেখতে পাবেন একটি ভগ্নস্তুপ। এটি নলরাজার গড়, চিলাপাতার জঙ্গলের অন্যতম প্রধান আকর্ষন। সংরক্ষণ ও যত্নের অভাবে প্রায় ধ্বংসাবশেষ। কথিত আছে ভূটান রাজার আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কোচবিহারের মহারাজার সৈন্যরা এই সুরক্ষিত দুর্গে থাকতো এবং বানিয়া নদী দিয়ে যাতায়াত করতো। দুর্গের চারপাশে আছে রামগুনা গাছ, যে গাছে আঘাত করলে রক্তের মত লাল রস নিসৃত হয়।

This image has an empty alt attribute; its file name is Chilapata-4-768x557.jpg
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #Chilapata Forest

আরো দেখুন