বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে! ওয়াক আউট বয়কট করলেন চার গেরুয়া বিধায়ক
বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এক বিরল ঘটনা দেখা গেল। যখন বিরোধী বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন শুভেন্দু অধিকারী তখনও বিধানসভায় রয়ে গেল চারজন বিজেপি বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাবি বক্তৃতা শুরু করার পরেই সমস্ত বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে যে চারজন বিজেপি বিধায়ক তখনও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন আসলে এই চার বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তবে খাতায়-কলমে তারা এখনও বিজেপি বিধায়ক হিসেবে রয়ে গিয়েছেন। এখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এদেরকেই কাজে লাগাতে চায়ছেন মমতা।
এই ৪ জন বিধায়ক হলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সোমেন রায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বিজেপি বিধায়করা এদিন বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করলেও এই চার বিজেপি বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে দেখা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই বিজেপি বিধায়কের দিয়ে বিরোধীদের পাঁকে ফেলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত বিজেপি বিধায়ক ওয়াকআউট করার পরেও ওই চার বিজেপি বিধায়ক ওয়াকআউট না করার ফলে বেজায় ক্ষুব্ধ হতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার জবাবি বক্তৃতার পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে বিজেপিরও সমালোচনা করেন। বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘আমরা নতুন বিধায়ক। অনেক কিছু আমাদের শেখার বাকি আছে । কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বারবার বিধানসভার অধিবেশনে বাধা দিচ্ছেন। তাহলে আমরা শিখব কিভাবে। তাই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যে যে মানুষগুলি রয়েছে তাদের জন্য আমার একটা দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। সরকার যদি উন্নয়নমূলক কাজ করতে চায় তাহলে অবশ্যই জনগণের জন্য সমর্থন করা উচিত। তবে বিরোধী মানে যে সব কথাতেই বিরোধিতা করতে হবে এমনটা নয়।’