দোলযাত্রায় বাড়ি বসেই উপভোগ করা যাবে বিরিয়ানির স্বাদ! উদ্যোগ পঞ্চায়েত দপ্তরের
এক টুকরো মাংস, আলু, ডিম আর জাফরানের ছোঁয়া লাগা বাসমতীর ভাত। সঙ্গে মশলার অনবদ্য ঐক্যতান। আর তাতেই মোহিত আধুনিক প্রজন্ম। নাম বিরিয়ানি। রঙের মরশুমে সেই বিরিয়ানির পসরা সাজিয়ে বসেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। এই পর্বে বাড়তি পাওনা বলতে বনমুরগি। ঝাড়গ্রাম থেকে আনা বনমুরগির টুকরো সাজিয়েই হাঁড়িতে চড়বে বিরিয়ানি। আবার মাটন বিরিয়ানির স্বাদ বাড়াতেও আনা হচ্ছে পাহাড়ি খাসি। দুই’ই স্বাদে-গন্ধে সাধারণ খাসি বা মুরগি থেকে আলাদা। বলা বাহুল্য, যা বিরিয়ানির স্বাদে যোগ করবে অন্য মাত্রা। রঙের মরশুমকে আরও বেশি করে রঙিন করে তোলাই পঞ্চায়েত দপ্তরের উদ্দেশ্য। গুপি-বাঘার ছিল তালি, আর পঞ্চায়েত দপ্তরের আছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। সেখানে জানালেই হাতেগরম বিরিয়ানি পৌঁছে যাবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার গৃহস্থের দুয়ারে। ফলে বাজার করা থেকে রান্না— চাইলেই দু’দিনের ছুটি। আর জমিয়ে পরস্পরকে রাঙিয়ে তোলার অনবদ্য সুযোগ।
রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্ত সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (সিএডিসি) রঙের উৎসবে এই ভুরিভোজের আয়োজন করেছে। মোগলাই খানার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার সংস্কৃতিকে। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা সিএডিসির কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, এটাকে ফিউশন পরিকল্পনা বলা যায়। দুই সংস্কৃতির মেলবন্ধনের সঙ্গে আম বাঙালিকে আরও বেশি করে রং খেলার সুযোগ করে দেওয়া। আগেও আমাদের এধরনের পরিকল্পনা বারবার জনপ্রিয় হয়েছে। বাসিন্দাদের চাহিদাও বেড়েছে। তাই আরও একবার আমাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মা-বোনেরা রঙের উৎসবকে কেন্দ্র করে ভুরিভোজের পরিকল্পনা করেছেন। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর স্বাগতা রায় জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ শুধু ডিনার পাওয়া যাবে। ১৯ এবং ২০ মার্চ লাঞ্চ ও ডিনার দু’টোই মিলবে। ওই দু’দিনই লাঞ্চে থাকছে চিকেন ও মাটন বিরিয়ানি। আর রাতে ঘরোয়া বাঙালি খানার সঙ্গে বনমুরগি বা পাহাড়ি খাসির স্বাদ নেওয়ার সুযোগ।
১৭৫ থেকে ৩৫০ টাকায় মিলবে এই খাবার। ৯১৬৩১২৩৫৫৬ এবং ৬২৯০২২৫৮৫৯ নম্বরে জানালেই দোলপর্বে ভুরিভোজের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। করোনা পর্ব থেকেই খাবারের হোম ডেলিভারি শুরু করেছিল সিএডিসি। পঞ্চায়েত দপ্তরের নিজস্ব বাগান, পুকুরের মাছ, খামারের খাসি বা মুরগি দিয়ে তার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে ওই উদ্যোগ খুবই কার্যকর হয়। এরপর বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে অভিনব খাবারের পসরা সাজাতে শুরু করে তারা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পছন্দের খাবার দিয়ে ভোজের আয়োজন বা পুজো মরশুমে বিশেষ মেনু বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার তাই দোলের মরশুমে বিরিয়ানির প্যাকেট হাতে কোমর বাঁধছে পঞ্চায়েত দপ্তর। বিরিয়ানির সঙ্গে থাকছে বাঙালি খানাও। দেরাদুন চালের ভাতের সঙ্গে মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল আর বনমুরগি বা পাহাড়ি খাসির মাংস। লাগলো রে দোল, বলার আগে তাই একবার শুধু হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে হবে। তাহলেই কেল্লা ফতে।