‘ওরাল হেল্থ ডে’ তে জেনে নিন মুখের যত্ন নেবেন কী করে
আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই, আপনার মুখও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারও যত্নের প্রয়োজন। আজ ওরাল হেলথ ডে। আজকের দিন থেকেই শুরু হোক মুখের যত্ন নেওয়া।
প্রতি বছর মার্চ মাসের কুড়ি তারিখে বিশ্ব জুড়ে ওরাল হেলথ ডে পালিত হয়। সুস্থ শরীরের জন্য আমাদের সকলের মুখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা উচিত। দাঁত ও মুখবিবরের প্রতি যত্নবান হলেই আমরা অনেক রোগকে প্রতিহত করতে পারি। সেই সচেতনা বাড়াতেই আজকের দিনটি উদযাপন করা হয়। মুখ ও দাঁতকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ওরাল কেয়ার।
দুর্গন্ধযুক্ত নি:শ্বাস এবং অস্বাস্থ্যকর দাঁত; মানুষকে অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। দাঁত সম্পর্কে একটু যত্নবান হলেই, সে সম্ভাবনা আর থাকে না। ওরাল ক্যাভেটি, মাড়িজনিত সমস্যা, জিভে আস্তরণ পড়ে যাওয়া, মুখ ও দাঁতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যত্নবান না হওয়া, ইত্যাদি কারণেই দাঁতের সমস্যার উদয় হয়। তাই সুস্থ থাকতে এইসব সমস্যার সঙ্গে লড়া একান্ত প্রয়োজন।
মুখের যত্ন নিতে ছয় দাওয়াই :
১) নিয়মিত ব্রাশ করা : মুখের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে জরুরি হল নিয়মিত ব্রাশ করা। দাঁতের উভয় অংশে, এনামেলের উপরিতলে, জিভ, গাম লাইন ইত্যাদি জায়গা ভালভাবে পরিষ্কার রাখতে ব্রাশের বিকল্প নেই। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ ব্রাশ করলেই দূর হয়। জিভের উভয় পাশে নিয়মিত ব্রাশ করা উচিত। দিন অন্ততঃপক্ষে দু’বার ব্রাশ করা উচিত।
২) প্রতিদিন ফ্লসিং : নিয়মিত ফ্লসিংয়ের ফলে দাঁতের ফাঁকে খাবারের অংশ আর আটকে থাকতে পারে না। অনেক সময় খাবারের অবশিষ্টাংশ আটকে থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়, ব্রাশও ঠিক মতো তা সাফ করতে পারে না। তাই নিয়মিত ফ্লসিং করলে এনামেলের মাঝে আটকে থাকা খাবারের অংশ নির্গত হয়।
৩) স্টিমুলেটিং স্যালাইভা প্রোডাকশন : মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্যালাইভা। মুখবিবরকে সর্বদা আদ্র করে রাখার মুল কারিগর হল লালা। ক্রমাগত লালাক্ষরণ খুবই আবশ্যক। কারণ শুষ্ক মুখ যাবতীয় মুখের রোগের আঁতুরঘর। সেই কারণে ক্রমাগত লালাক্ষরণ বজায় রাখতে সুগার ফ্রি চুইং গাম খাওয়া উচিত।
৪) সুষম খাদ্যগ্রহণ : সুষম খাদ্য গ্রহণ মুখের যত্নের জন্য আবশ্যক। খাবার খেলে লালা ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যা দাঁত, মাড়ি এবং জিভে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়ার অপসারণ ঘটায়।
৫) ধূমপান ও তামাক সেবন এড়িয়ে চলা : ধূমপান, দাঁত ও মুখের নানান রোগের কারণ। তামাক সেবনের ফলে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় যা ব্রাশ করলেও যায় না। তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে তামাক এড়িয়ে চলুন।
৬) সব সময় হাইড্রেটেড থাকা : মানবদেহে সব সময় পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাই জল পান করেই আমাদের হাইড্রেটেড থাকতে হবে। পর্যাপ্ত জল খেলে মুখে কোনরকম গন্ধ হবে না। দাঁত ও মাড়ির মাঝে আটকে থাকা খাদ্যের অবশিষ্টাংশ নির্গত হবে। ব্যাকটেরিয়াও জন্মাতে পারবে না।
এছাড়াও নিয়মিত দন্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শের অধীনে থাকলে কোন সমস্যাই দেখা দেবে না।