আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ভ্রান্ততথ্যই কি সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্য কারণ? কী বলছে হু ?

March 20, 2022 | 2 min read

এখনই শেষ হচ্ছে না অতিমারি! ভ্রান্ততথ্যই সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্য কারণ,এমনটাই মনে করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। 


অতিমারি নিয়ে সর্বত্র নানান ভুয়ো তথ্য ঘুরে-বেড়ায়। এই ভুয়ো তথ্যই হয়েছে কাল। ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। বিশ্ব জুড়ে বিগত এক সপ্তাহে দাপিয়ে ব্যাটিং করছে করোনা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, ভুয়োতথ্যসহ নানা কারণে ফের উর্ধ্বমুখী বিশ্বব্যাপী করোনার গ্রাফ। এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানেই অশনি সংকেত দেখছে হু!

হু-এর (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) করোনা বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ মতে, অতিমারি শেষ, ওমিক্রন করোনার শেষ ভ্যারিয়েন্ট, ওমিক্রনের প্রভাব মৃদু ইত্যাদি ভুয়ো প্রচারের কারণে মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। যার ফলে ফের একবার দাপট শুরু করতে চলেছে করোনা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরুও হয়ে গিয়েছে। মারিয়ার কথায়, “করোনা নিয়ে বিস্তর ভুয়ো তথ্য, ভ্রান্ত ধারণা আমাদের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওমিক্রন ক্ষতিকারক নয়, অতিমারি শেষ, ওমিক্রন করোনার শেষ ভ্যারিয়েন্ট আমাদের এর মধ্যেই বেঁচে থাকতে হবে, এই জাতীয় প্রচারের কারণেই রোগ বাড়ছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।” 

হু-এর তরফে টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। হু-এর উচ্চপদাধিকারীদের মতে টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমিক্রন এবং করোনার কারণে মৃত্যু রুখে দিতে পারে টিকা। মারিয়ার কথায়, “বিএ-২ এখনও অবধি পাওয়া সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। এই নতুন করে শুরু হওয়া সংক্রমণে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার পরিমান বেড়ে যাবে। মৃত্যুর পরিমান বৃদ্ধি পাবে।”

সম্প্রতি হু জানিয়েছে, করোনা অতিমারির শেষ হওয়া এখনও অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয়। বরং বিগত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত এক সপ্তাহে সংক্রমণ হার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১.১ কোটি নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে ২৫ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। ২৭ শতাংশ মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্চের প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে সংক্রমন বাড়ার ফলে গোটা ইউরোপে খবু শীঘ্র করোনা ভাইরাসের আরও একটি ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#WHO, #Corona, #covid 19

আরো দেখুন