স্থায়ী চাকরি বন্ধ করে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার? উঠছে প্রশ্ন
এক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এই সংখ্যা ১৩ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪ লক্ষ। সোমবার লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, অধিকাংশ শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ একপ্রকার বন্ধ বলেই কি চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে এভাবে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার? সোমবার লোকসভায় শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৮৯ জন।
যদিও ২০২০ সালে এহেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় সামান্য কম ছিল। ২০১৯ সালে সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৭৭ জন। অর্থাৎ, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর হ্রাসপ্রাপ্তির সংখ্যা সামান্যই। সম্প্রতি সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কর্মিবর্গ মন্ত্রক জানিয়েছিল, বিভিন্ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে ২০২০ সালের ১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী সাড়ে আট লক্ষেরও বেশি পদ খালি রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
এদিন শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লোকসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতি ও কিছু অনিবার্য কারণের জন্য অনেক সময়ই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু নিয়ম মেনে নিয়মিত সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হয়।’ কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে কোনও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারী যে রাজ্যে কর্মরত থাকেন, তাঁর মজুরির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির তুলনায় কোনওমতেই কম হতে পারে না। লোকসভায় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, এক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলা কর্মীর অনুপাত ৬:১।
অন্যদিকে, সোমবার লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘কোনও সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে যদি ন্যূনতম ১০ জন কর্মচারী থাকেন, তাহলে যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য মালিকপক্ষকে একটি ইন্টারনাল কমিটি গড়তেই হবে।’