দিল্লিতে জঙ্গি হানার আশঙ্কা! জারি হাই-অ্যালার্ট
বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে রাজধানী দিল্লিকে, ই-মেলে এমনই হুমকি পাওয়ার পর থেকে জোর শোরগোল। দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ই-মেলটি পায়। জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান এই ই-মেলটি পাঠিয়েছে বলেই দাবি। এই ই-মেল পাওয়ামাত্রই রাজধানী নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল ইউনিটের শীর্ষ আধিকারিক জানান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের পুলিশের কাছে সম্প্রতি একটি ই-মেল আসে। ওই ই-মেলটিতে দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হয়। ই-মেলটি তেহরিক-ই-তালিবানের কাছ থেকে এসেছে। এমনকী বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কর্তৃপক্ষের কাছেও ওই একই ই-মেল পাঠানো হয়।
আর এই ই-মেলটি পাওয়ার পরই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গোটা দিল্লিতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। রেলস্টেশন, মেট্রো স্টেশন-সহ নানা শপিং মল এবং দর্শনীয় স্থানগুলির উপর কড়া নজর পুলিশের। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সর্বত্র। চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। কাজে লাগানো হচ্ছে পুলিশ কুকুরকেও। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হয়েছে।
শহরের সমস্ত গেস্ট হাউস, হোটেলগুলির রেজিস্ট্রার ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষীরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতেও হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে৷ হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশ সীমানা এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলছে নাকা তল্লাশি। প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দিল্লির সরোজিনী নগরের বাজার সমিতির সভাপতি অশোক রান্ধায়া বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত সরোজিনী নগর মার্কেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা মানতে নারাজ পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে দিল্লিতে ৪-৫ জন জঙ্গি লুকিয়ে রাখার আশঙ্কা করা হয়। সে সময়ও দিল্লির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জারি হয় হাই অ্যালার্ট।