বগটুই-এর পথে শক্তিগড়ে ল্যাংচা খেতে নামলেন বিজেপির নেতারা, কটাক্ষের ঝড়
রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের স্লোগান দিতে দিতে কলকাতা থেকে বাসে করে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পথে রওনা দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তৃণমূলের কটাক্ষে বিদ্ধ হল পদ্মশিবির। উপলক্ষ একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি প্রতিনিধিদলের বাস। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। আজ রামপুরহাট যাব ভেবেও তাই গেলাম না।’’
সাতসকালে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বগটুই গ্রামে ঢুকে পড়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেলিম যখন বগটুইতে ঢুকছেন বাইকের পিছনে বসে, তার কাছাকাছি সময়েই বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের বাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকানের সামনে। যা নিয়ে বিজেপি-কে তুমুল কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একটি ভিডিয়ো দিয়ে টুইটে কটাক্ষ করেছেন। ‘বিজেপি-র পিকনিক’ শিরোনামে সেই টুইটে তাঁর দাবি, বিজেপি বিধায়কদের দলটি শক্তিগড়ের ল্যাংচা খেতে দাঁড়িয়েছিল।
তবে বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘পাগলের কথার কোনও উত্তর দেব না। ওঁকে (কুণাল ঘোষ) এই জন্যই তৃণমূল রেখেছে। আমরা বগটুই যাচ্ছি। পথে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। আমাদের যদি আটকানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেখানেই বসে বিক্ষোভ শুরু করব।’’
বিজেপি-র একাংশের বক্তব্য, এসব বলে ‘গণহত্যা’-র বিষয়টি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে তৃণমূল। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘দীর্ঘ সফরে তৃণমূলের কোনও নেতানেত্রী কি বিভিন্ন প্রয়োজনে গাড়ি দাঁড় করান না? কোনওদিন করাননি? তার মানেই কি তাঁরা বিষয়টি লঘু করে দেখেছিলেন?’’