শীঘ্রই শুরু হচ্ছে রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির শূন্য পদে নিয়োগ?
রাজ্যের সরকারপোষিত গ্রন্থাগারগুলিতে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে গ্রন্থাগার দপ্তর। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। চার জেলায় ‘লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি’ (এলএলএ) গঠিত না হওয়ায় এত দিন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। সম্প্রতি ওই চার জেলায় এলএলএ গঠনের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর। তার পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ।
আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রাম— এই চার জেলায় এখনও সম্পূর্ণ ভাবে লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি (এলএলএ) গঠিত হয়নি। এই মূহূর্তে রাজ্যে গ্রামীণ গ্রন্থাগারের সংখ্যা রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। বহু গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক না থাকার অভিযোগও রয়েছে। তাই এ বিষয়ে নবান্নে দরবার করেছিল গ্রন্থাগার দপ্তর। তার পরেই নিয়োগের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। তবে সবার আগেই এলএলএ গঠন করাতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার পরিষেবা বিভাগের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় এলএলএ গঠনের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরে বাকি জেলাগুলিতেও ওই কমিটি গঠন হয়ে যাবে। এক বার কমিটি গঠন হয়ে গেলে আর নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না।’’ এত দিন নিয়োগ আটকে থাকার কারণ শুধু এলএলএ গঠন না হওয়া নয়। করোনার কারণে গ্রন্থাগারগুলি ২০২০ থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় অবসর নেওয়া কর্মীদের জায়গায় আর নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা যায়নি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বুলবুল, ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারগুলির সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সব সামলে ধীরে ধীরে আবারও ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সরকারি গ্রন্থাগারগুলি। তার পরেই কর্মী নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে গ্রন্থাগার দপ্তর।