রামপুরহাট কাণ্ডে ১২ জন হিন্দুকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে? জানুন আসল সত্য
রামপুরহাটের (Rampurhat Violence) ঘটনায় আগুনে ঝলসে একাধিক মানুষের মৃত্যু ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভুয়ো পোস্ট (Rampurhat Incident Viral Fake Post)৷ তাতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতরা সবাই হিন্দু৷ তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলা এবং দু’জন শিশু৷ এই পোস্টটি টুইটারে শেয়ার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তুলোধনা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (NWC Rekha Sharma)৷ টুইটটি ভাইরাল হওয়া মাত্র নেট পাড়ায় তুমুল আলোড়ন পড়ে যায়৷ রাজ্য পুলিস পোস্টটিকে ভুয়ো বলে জানিয়ে দেয়৷ পাশাপাশি গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টার জন্য ভুয়ো পোস্ট শেয়ারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য পুলিস৷
এতে সবার আগে বিতর্কে জড়ান খোদ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন৷ ওই ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে রাজ্য সরকারের নিস্ক্রিয়তা এবং অধিকাংশ মিডিয়ার নীরবতা নিয়ে খোঁচা মেরেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে তিনি রাজ্যে মহিলা কমিশনের টিম পাঠাতে পারেন৷ কিন্তু ভুয়ো পোস্টটি শেয়ার করে মহিলা কমিশনের মতো বিধিবদ্ধ স্বশাসিত সংস্থার দায়বদ্ধতা ও বিচক্ষণতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন৷ প্রশ্ন উঠছে, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে তাঁর তো উচিত ছিল প্রামাণিক কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান মারফত সমস্ত বিষয়টি সম্পর্কে জেনে-বুঝে তারপর টুইট করা৷ কিন্তু তিনি এমন একজনের পোস্ট টুইটারে শেয়ার করেছেন যার কোনও প্রামাণিক সত্যতা নেই৷
ভুয়ো পোস্টটি ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার আগে ইন্দ্রনারায়ণ সাহ নামে এক ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা হয়৷ সেটি গতকাল রাত ১১টার পর শেয়ার করেন রেখা শর্মা৷ আজ বুধবার সন্ধে ৭টার আগে টুইট করে রাজ্য পুলিস জানিয়ে দেয়, ওটি ভুয়ো পোস্ট৷ বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনায় কোনও হিন্দু মহিলা বা শিশুর মৃত্যু হয়নি৷ গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ এমনিই চড়ে আছে৷ তার উপর এই সব পোস্ট ভাইরাল করে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷