ব্লক প্রেসিডেন্ট আনারুলকে গ্রেপ্তার করুন,পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক নিহতর আত্মীয়। বগটুইতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দশটি পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “জীবনের বিকল্প কখনও টাকা বা চাকরি হয় না। তবুও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। যাঁরা চলে গেলেন তাঁদের পরিবারকে তো বেঁচে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজের কোটা থেকে দশটি পরিবারের একজন করে সদস্যকে গ্রুপ ডির চাকরি দেব। এক বছর পর সেই চাকরি পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। এলাকার আশেপাশেই যাতে সবাই চাকরি পায় সেদিকে নজর রাখা হবে।” এছাড়াও যে কটি বাড়ি অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সেগুলি সারাই করার জন্য আপাতত এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাড়ি তৈরির জন্য চারটি পরিবারের হাতে অর্থও তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি পরিবারকে পরে জেলাশাসক নির্দিষ্ট অর্থ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথমে বাড়ি সারাইয়ের জন্য এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা বললেও পরে সেই অঙ্ক বাড়িয়ে দু’লাখ টাকা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি এই ঘটনায় আহত মহিলাকে আলাদা করে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফে, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আহত তিন শিশুকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙেছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সুবিচার দাবি করেন তাঁরা। তিনি রামপুরহাটে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন। এদিকে এদিন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে পৌঁছনোর আগেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন SIT (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম)-এর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিংহ ও মিরাজ খালিদ। এলাকা কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
এদিনই রামপুরহাটে যাচ্ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, এদিন বোলপুরের শ্রীনিকেতন মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “আমি কোনও ব্যাঘাত ঘটাতে বগটুইকে যাচ্ছি না। সঙ্গে অস্ত্রও নেই। সেক্ষেত্রে কেন আমাকে ১০০ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হল? আমরা কী অপরাধ করেছি?” এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।