করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনার কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা উত্তর দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র
কোডিভ পরিস্থিতিতে গত দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উপর প্রভাব পড়েছে কি? পড়লেও তার কোনও সমীক্ষা হয়েছে? কত স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা রয়েছে? ভবিষ্যতে ফের যদি কোনও বিপর্যয় আসে, তা মোকাবিলা করেও কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার স্বাভাবিক রাখা যায়, তার কোনও পরিকল্পনা সরকারের আছে কি? মোদী সরকারকে সরাসরি এই প্রশ্ন করেও সোজাসাপ্টা জবাব মিলল না। তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি জহর সরকার কেন্দ্রের কাছে সরাসরি এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন।
কিন্তু তার কোনও স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সরকারের নানাবিধ যে প্রকল্প রয়েছে, তাই আউড়ে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। এবং গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা রাজ্যেরও বিষয়। মন্ত্রীর কাছ থেকে দায় এড়ানো প্রশ্নের জবাব পেয়ে ক্ষুব্ধ জহরবাবু বলেন, প্রকল্পের গালগল্প শুনে কী হবে। বাস্তবে কী হয়েছে, সেটাই তো জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের কাছে স্পষ্ট জবাবই নেই। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘সেইল’ তার কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) তহবিল থেকে গত পাঁচ বছরে খরচ করেছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কত? সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানতে চান মালা রায়। জবাবে ইস্পাত মন্ত্রী রামচন্দ্র প্রসাদ সিং জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ২৪ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা দিয়েছে সেইল।