সুস্থতার পথে ভারত, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৬৮৫ জন
করোনা আতঙ্ক পুরোপুরি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পথে দেশ। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই সমস্তরকম কোভিড বিধি নিষেধ উঠে যাচ্ছে। তার আগে আরও কমে গেল দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার প্রায় সব প্যারামিটারই নিম্নমুখী। আগামী ২৭ মার্চ থেকেই ভারতে স্বাভাবিক হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। তার আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে দেশ-বিদেশের বিমান সংস্থাগুলি। ভারতের বিভিন্ন রুটে পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ জন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। দেশে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৩০ জন। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৫ শতাংশ। সংক্রমণে কমলেও এদিন সামান্য বেড়েছে দেশের মৃত্যুহার। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৬৭। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৫৫ জনের।
অন্যান্য সূচকের মতোই স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৪৯৯ জন। সব মিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি ‘স্টেল্থ ওমিক্রনে’র দাপট। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, চিনের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮২ কোটি ৫৫ লক্ষ্যের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২৯ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। এদিকে টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ৯১ হাজার ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।