কলকাতা বন্দরের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর পর গঙ্গা দাপিয়ে বারাণসী ছুটবে ক্রুজ
শহর সংলগ্ন গঙ্গার পাড় সৌন্দর্যায়নের পর পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে। শহরের সাধারণ মানুষ দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার জন্যও এখন সৌন্দর্যায়িত গঙ্গাতীরে এসে বসছেন। এখন গঙ্গা নদীর জলভাগও পর্যটনের জন্য ব্যবহার করতে চায় কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (এসএমপি) কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নদীতে নামানো হচ্ছে বিলাসবহুল ক্রুজ প্রমোদতরী। এর জন্য জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ টার্মিনাল জেটি। সেটি গড়ে উঠছে খিদিরপুর ডক সংলগ্ন ‘ইনডেনচার’ স্মারকস্তম্ভের কাছে। খরচ হচ্ছে ৬৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর পর গঙ্গা দাপিয়ে বারাণসী ছুটবে এই ক্রুজ। জেটি সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। অনেক বেসরকারি সংস্থাই এই প্রমোদতরী চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও গঙ্গায় একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গঙ্গার নীচ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের যাতায়াতের টানেল তৈরি করার প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে সমীক্ষা করার ভাবনাচিন্তা করছেন বন্দরের কর্তারা। সেই রিপোর্ট ইতিবাচক হলে গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথে যুক্ত হবে যমজনগরী কলকাতা ও হাওড়া। মূলত দিনের বেলায় শহরে লরি, ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পণ্যবোঝাই গাড়িগুলি বন্দরে ঢুকতে বা বেরতে পারে না। ফলে বাণিজ্য মার খায় দিনের অর্ধেক সময়। এই সমস্যা এড়াতেই এমন ভাবনা বলে জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। এ নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে চান। বন্দরের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মূলত যানজট এড়াতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রো রো পরিষেবাও চালু করার পক্ষপাতী বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে রো রো বা বার্জে করেই পারাপার করানো যাবে ট্রাক-লরি। এছাড়া কুঁকরাহটি-রায়চক এবং বজবজ-হাওড়ার মধ্যে রো রো পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।