গত অক্টোবরের পরে করোনা আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ নয়, অধিকারিকদের নির্দেশ রাজ্যের
করোনা যোদ্ধা থেকে স্বাস্থ্যকর্মী— গত ৩১ অক্টোবরের পরে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলে তিনি আর আর্থিক সহয়তা বা বিমার বাড়তি সুবিধা পাবেন না। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। তবে, এ ব্যাwill be paid any compensation says পারে এখনও কোনও স্পষ্ট সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও জেলা এবং শহরের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি সরকারি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের সত্যতা অবশ্য স্বীকার করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে রাজ্যে করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ এই বিমা ও আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চালু হয়েছিল। তাতে করোনা আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার পরে এক লক্ষ টাকা এবং ওই রোগে মারা গেলে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত। আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত সাধারণ মানুষও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পেতেন। এই নির্দেশিকায় সেই আর্থিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য-শিবির। এ দিনের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়েছে, বিমা ও আর্থিক সহয়তা পাওয়ার যে সব আবেদনপত্র ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জমা পরেছে শুধু তাঁদের সেই আবেদনগুলি মঞ্জুর করা হবে। ওই বার্তায় ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে— কেউ ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে ৩১ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, তিনি বিমার সুবিধা পাবেন। কিন্তু কেউ যদি ৩১ অক্টোবর আক্রান্ত হয়ে কিংবা ১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে থাকেন বা সুস্থ হয়ে গিয়ে থাকেন তবে তাঁরা বিমার সেই সুবিধা আর পাবেন না।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগামছাড়া সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্কটজনক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, মৃত্যু সবই ছিল অনেক বেশি। তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও, বেশিরভাগ আক্রান্তই বাড়িতে সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। এই সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘প্রথম ঢেউতে হাতে গোনা কয়েকজন আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত কেউ এখনও টাকা পাননি। তা নিয়ে বার বার স্বাস্থ্য কর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। এর পরেই একটা তারিখ বেঁধে দিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ে এত স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হলেও তাঁদের চক্রান্ত করে বাদ দেওয়া হল।’’