জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে নিরুত্তাপ নির্মলা, প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট বিরোধীদের
জ্বালানির (Fuel Price Hike) মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষ। গত চার দিনে তিনবার দাম বেড়েছে পেট্রল (Petrol) ও ডিজেলের। রান্নার গ্যাসের দামেও ছ্যাঁকা খাচ্ছেন আমজনতা। এহেন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে শুক্রবার ফের লোকসভা (Loksabha) থেকে ওয়াকআউট করলেন বিরোধী সাংসদরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে এদিন প্রশ্ন করেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন তিনি। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) এদিন উপস্থিত ছিলেন সংসদে। জিরো আওয়ার পর্বে বিরোধী সাংসদদের তরফ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন লাগামছাড়া ভাবে দাম বাড়ছে জ্বালানির। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান অর্থমন্ত্রী। প্রতিবাদে সরব হন কংগ্রেস, সিপিএম-সহ ৭ টি দলের সাংসদরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ডিএমকে, এনসিপির জনপ্রতিনিধিরা। অবিলম্বে জ্বালানির দাম কমাতে হবে, এই দাবিতে অনড় থাকেন বিরোধীরা। প্রতিবাদ জারি রেখেই ওয়াকআউট করেন ৯ টি দলের বিধায়করা।
কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “সাধারণ মানুষ সবে মাত্র ওমিক্রনের ধাক্কা সামলে উঠেছে। আরও কত বার মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হবে তা কেউ জানেন না। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে মানুষের বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশের প্রয়োজন। কিন্তু বারংবার মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহণ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে। ফলে মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।” এর পরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভোটের আগে তিন মাস কী করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার? কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি অর্থমন্ত্রীর থেকে।
বাজেট অধিবেশন নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে লোকসভা। এর আগেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেছেন বিরোধী সাংসদরা। উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গত মঙ্গলবারই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। টুইটারে তাঁকে লিখতে দেখা যায়, গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রলের মূল্যের উপর আরোপিত ‘লকডাউন’ তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর আরও খোঁচা, প্রধানমন্ত্রীকে মূদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন, ”থালি বাজাও।”