লজিস্টিক হাবগুলির বিনিয়োগ সমৃদ্ধ করছে রাজ্যের অর্থনীতিকে, কমাচ্ছে বেকারত্ব
করোনাকালে দেশের অর্থনীটিতে টান পড়লেও, বাংলা তার উত্থান অব্যহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। গোটা দেশে বেকারত্বের হাড় বাড়লেও বাংলা বেকারত্বে রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে। বাংলায় বিনিয়োগ হচ্ছে না বলে বিরোধীরা গলা ফাটালেও আসল চিত্রটি কিন্তু একদমই অন্য। এই করোনাকালেও বাংলা পেয়েছে বহু বিদেশি বিনিয়োগ। তারমধ্যে অন্যতম অ্যামাজন লজিস্টিক হাব।
রাজ্যে সব মিলিয়ে অ্যামাজনের পাঁচটি ওয়্যার হাউজ বা গুদাম ঘর রয়েছে। ভারতে অ্যামাজনের যতগুলি ওয়্যার হাউজ আছে তার মধ্যে বৃহত্তম ওয়্যার হাউজটিও আছে পশ্চিমবঙ্গের রাণীহাটিতে।
আর এতে কাজ করছেন বাংলার বহু মানুষ। প্রোডাক্ট প্যাকেজিং থেকে ডেলিভারি সবই করছেন বঙ্গবাসী। ফলে বেকারত্ব যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে।
সাধারণত ছোট সংস্থার পক্ষে নিজের পণ্য সঠিক ভাবে রাখার ব্যবস্থা করা ব্যয়সাপেক্ষ। তাই অ্যামাজনের ওয়্যার হাউজগুলিতে পণ্য মজুত থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের হাতে তা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। বিশেষ করে উৎসবের আগে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা মেটাতে এই গুদাম ছোট সংস্থাগুলিকে সাহায্য করবে এই চিন্তাধারা থেকেই এই ওয়্যার হাউসগুলি খোলে অ্যামাজন। আর এই ব্যবসাই এখন বাংলায় চলছে রমরমিয়ে।
এক একটি ওয়্যার হাউজের আয়তন প্রায় ৪০ লক্ষ বর্গ ফুট। প্রতিটি তৈরিতে খরচ প্রায় ৯০০- ১০০০ কোটি টাকা। এই বিল্ডিংগুলো তৈরিতে শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন তাদের বেশিরভাগই বঙ্গবাসী। ফাইল সব মিলিয়ে বাংলার বাজারেই ঘুরছে সেই টাকা। আর সমৃদ্ধ হচ্ছে বঙ্গ অর্থনীতি।
অপরদিকে অ্যামাজনের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বি ফ্লিপকার্টেরও একাধিক কেন্দ্র রয়েছে বাংলায়। ফ্লিপকার্টের ডানকুনি কেন্দ্রতেই কাজ করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। এছাড়াও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফ্লিপকার্টের সাথে কাজ করে বাংলার ৫০,০০০ মানুষ।
অ্যামাজনের রাণীহাটির সবচেয়ে বড় ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’- এর সাথে যুক্ত প্রায় ২৫,০০০ বিক্রেতা। সব মিলিয়ে লজিস্টিক হাবগুলির বিনিয়োগ সমৃদ্ধ করছে রাজ্যের অর্থনীতিকে।