দেশের করোনা গ্রাফে মিলছে না স্বস্তি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, দেশের সার্বিক করোনা পরিসংখ্যান এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। তখনই নতুন করে চিন্তা বাড়ানো শুরু করল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। দিন কয়েক আগে যে সংখ্যাটা ৩৩-এ নেমে গিয়েছিল, সেটাই ফের বেড়ে পৌঁছে গেল দেড়শোর আশেপাশে। গতকালই বেশ কয়েকটি রাজ্য নিজেদের মৃতের সংখ্যার হিসাব সংশোধন করায় দেশের মৃতের পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছিল ৪ হাজার ১০০ জন। এদিন অবশ্য মৃতের সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেকটা নেমে গিয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪২১ জন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। দেশে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১৮৭ জন। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৪ শতাংশ। সংক্রমণে কমলেও চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের।
অন্যান্য সূচকের মতোই স্বস্তিদায়ক জায়গায় দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮২ হাজার ২৬২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৮২৬ জন। সব মিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি ‘স্টেল্থ ওমিক্রনে’র দাপট। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, চিনের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮৩ কোটি ২০ লক্ষ্যের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। এদিকে টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ২০ হাজার ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।