দিল্লি বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার সম্মুখীন স্পাইস জেটের যাত্রীবাহী বিমান, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন সকলে
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল স্পাইস জেটের একটি বিমান। যাত্রীবাহী ওই বিমানটি বিমানবন্দরের ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মারে বলে খবর। এয়ারক্র্যাফ্টটি পুশব্যাকের সময় এই ধাক্কা লাগে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় আহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিল স্পাইসজেটের এই বিমানটি। ফ্লাইট নম্বর SG-160 বিমানটি পুশব্যাক করার সময় ডানদিকের উইংটির একটি অংশ ইলেকট্রিকের পোলের সঙ্গে ধাক্কায় খেয়ে যায়। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানের ওই অংশটি। বিদ্যুতের খুঁটিটিও বেঁকে যায়। স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। তাঁদের অন্য একটি বিমানে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরাতজোরে সকলেই রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে DGCA.
কিছুদিন আগেইমাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল Indigo-এর দুটি বিমান। বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্ট থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই মাঝ আকাশে মুখোমুখি চলে আসে 6E455 বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা এবং 6E246 বেঙ্গালুরু থেকে ভুবনেশ্বরগামী বিমান। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বিমান দু’টি। Kempegowda International Airport (KIA) অর্থাৎ বেঙ্গালুরুর আকাশে হওয়া এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাধারণত একই বিমানবন্দর থেকে একই সময় আলাদা আলাদা বিমানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট দূরত্ব বেঁধে দেওয়া হয়। টেকনিক্যালি বলতে গেলে এই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব মানা হয়নি বলে দাবি।
অপরদিকে, রায়পুরের কাছে আচমকাই যাত্রীবোঝাই এক বিমানের পাইলটের হার্ট অ্যাটাক হয়। কলকাতা ATC-র তরফে বিমানের নির্দিষ্ট লোকেশন বুঝে বিমানটিকে জরুরিভিত্তিতে অবতরণের পরামর্শ দেওয়া হয়। নাগপুরে এমারজেন্সি ল্যান্ডিং করানো হয় বিমানটির। জানা যায়, বিমানটি বাংলাদেশের। মাসকট থেকে ঢাকা যাচ্ছিল সেটি।
অন্যদিকে, গত সোমবার ১৩২ জন সওয়ারি নিয়ে চিনে ভেঙে পড়ে বিমান। তড়িঘড়ি শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। সূত্রের খবর, ওই বিমানে মোট দুটি ব্ল্যাক বক্স ছিল। দু’টিই ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা গিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা চালকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন। চালক আত্মহত্যা করার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা, সেই সম্ভাবনা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। এর কারণ হল, দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত চালকের পক্ষ থেকে কোনও এমার্জেন্সি কল আসেনি। যা কিছুটা অস্বাভাবিক ঠেকছে তদন্তকারীদের কাছে। Flight 5735 বিমানটি উড়ান শুরু করেছিল কুনমিং থেকে। গন্তব্য ছিল গুয়াংঝৌ। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ভেঙে পড়ে সেটি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের গন্তব্যের দূরত্ব ছিল প্রায় ১০০ মাইল।