বামেদের ডাকা বনধে বাংলায় মিশ্র প্রভাব, জায়গায় জায়গায় গা-জোয়ারি সমর্থকদের
বনধের সমর্থনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে কয়েকজন বাম কর্মী রেল অবরোধ করতে কুলগাছিয়া স্টেশনের কাছে রেল লাইনে জড়ো হন। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসছিলো ডাউন পাঁশকুড়া-শালিমার লোকাল ট্রেন। ট্রেনের সামনে চলে আসেন কয়েকজন অবরোধকারী। চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে হুমড়ি খেয়ে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়েন কয়েকজন। এঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর।
সাধারণ ধর্মঘটকে ঘিরে উত্তেজনা। রানিগঞ্জে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ধর্মঘটীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ পৌঁছে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী পার্থ মুখার্জী নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন বন্ধের দিনেই। তিনি আসানসোল ঊষাগ্রাম থেকে মহিশিলা কলোনি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন। লোকসভা কেন্দ্রের অন্যান্য বিধানসভায় যদিও বা বন্ধ সমর্থকরা রাস্তায় পিকেটিং করছে। কিন্তু আসানসোলে প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। কারণ, নির্বাচনে জিতে আসাটাই বামফ্রন্টের এখন একমাত্র লক্ষ্য আসানসোলে। অন্য দিকে, দুর্গাপুরে পুলিশ ও বন্ধ সমর্থনকারীদের ধ্বস্তাধস্তির ছবি সামনে এসেছে।
ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায় বন্ধের প্রভাব দেখা গেল। রাস্তা আটকে বসে থাকেন বাম কর্মী সমর্থকেরা।
ছিল আটকায় পুলিশ। পাশাপাশি, আইএনটিটিইউসি সমর্থকদের একটি মিছিল চলে আসে ঘটনাস্থলে। দুই মিছিল থেকে চলতে থাকে স্লোগান। পুলিশ দু’টি মিছিলকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা প্রথম দিনের বন্ধে সে ভাবে প্রভাব পড়েনি হাওড়া জেলায়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ হলেও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিকই আছে। হাওড়া স্টেশনেও বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া- আমতা শাখায় লোকাল ট্রেন অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। ডোমজুড় রোড স্টেশনে ডাউন আমতা হাওড়া লোকাল আটকানো হয়। ঘটনাস্থলে যায় আরপিএফ। ডোমজুড় থানা এলাকায় জোর করে সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা হয়। ধর্মতলাগামী সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করলে খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় ডোমজুড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সরিয়ে দেওয়া হয় সমর্থনকারীদের।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধের সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছে। কলকাতায় গোলপার্ক এলাকায় গার্ডরেল ভাঙেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। অন্য দিকে, পুলিশের সঙ্গে বন্ধ সমর্থনকারীদের বচসা বাধে লেকটাউন কালিন্দি এলাকায়। ধর্মঘটে অশান্তির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটকায় পুলিশ। যশোর রোডে জোর করে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা বলে অভিযোগ। যাদবপুর এলাকায় বন্ধের সমর্থনকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। শিয়ালদহগামী ট্রেন আটকানোর অভিযোগ উঠেছে বন্ধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে।