হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

ঘাম কমাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

March 28, 2022 | 2 min read

মার্চ মাস পড়তে না পড়তেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ঘেমে নেয়ে অস্থির সকলে। ঘাম মানেই দুর্গন্ধ। কিন্তু ঘাম ঠেকাবেন কী করে? শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ঘাম অবশ্যক। ঘাম হবেই; কিন্তু এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার সহজ উপায় আছে কি?

পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় সামান্য কিছু হেরফের করলেই, অতিরিক্তি ঘাম হওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ফলত ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

যাদের হাইপারহাইড্রোসিস, অর্থাৎ অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা রয়েছে। গরমকালে তাদেরই বেশি সমস্যা হয়। কিছু কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়…

১) ডায়বিটিস রোগীদের ঘামের সমস্যা বেশি হয়।
২) মেনোপজের পরে ঘামের পরিমান বেড়ে যায়।
৩) দেহে কোনরকম জীবাণু সংক্রমণ থাকলে ঘামের সমস্যা হয়।
৪) রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে হাত পা ঘামে বেশি।
৫) থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ঘাম হয় বেশি।
৬) লিউকেমিয়া ও রক্তাল্পতার কারণে ঘামের পরিমান বেড়ে যায়।
৭) বিভিন্নরকম ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অনেকের ঘাম হয়।
৮) দুশ্চিন্তা, মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ এবং পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাব ইত্যাদি কারণেও শরীরে ঘামের মাত্রা বেড়ে যায়।

সমস্যার পাঁচালি শুনতে ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ সমস্যা মানেই তার সমাধানও রয়েছে। খাবারই হল শ্রেষ্ঠ নিদান! জেনে নিন নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় কোন খাবারগুলোকে রাখলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে-

১) পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান :

পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করলেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। গরমকালে জল পানের পরিমান বাড়াতে হবে। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। অতিরিক্ত ঘামও হবে না।

২) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায় :
ফাইবার যুক্ত খাবার, যেমন ওটস ও শস্য পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। হজম প্রক্রিয়া ভাল হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত ঘাম হয় না।

৩) রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন :

রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে অলিভ অয়েলে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে দেয় না, ফলে সহজে ঘাম হয় না।

৪) মরশুমি ফল খান :
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এমন ফল রাখুন যাতে প্রচুর পরিমানে জল রয়েছে। যেমন, আপেল, আঙুর, তরমুজ, আনারস ও কমলালেবু নিয়মিত খান। এই সব ফল শরীরে ঘামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ফলে শরীর থেকেও ঘামের দুর্গন্ধ বেরোবে না।

৫)প্রচুর পরিমানে শাক-সবজি খান :
বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি যেমন সেলেরি, শশা, লেটিউস, বাঁধাকপি ও পালংশাক ইত্যাদি নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এই সব সবজিতে এতে প্রচুর পরিমানে জল থাকে। যা ঘামের স্তর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

৬) গ্রিন টি পান :
গ্রিন টি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গ্রিন টি-র অনেক উপকার আছে। গ্রিনটিতে প্রচুর পরিমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্নায়ুতন্ত্রের সাম্যতা নিয়ন্ত্রণ করে, ঘামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#HTK, #sweat, #Summer

আরো দেখুন