দেশ বিভাগে ফিরে যান

অভিযুক্তদের ‘জৈব নমুনা’ সংগ্রহের সংগ্রহের ক্ষমতা পুলিসের হাতে! নয়া বিলের তীব্র প্রতিবাদ বিরোধীদের

March 29, 2022 | 2 min read

সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ও অভিযুক্তদের ‘শারীরিক মাপজোক’ ও ‘জৈব নমুনা’ সংগ্রহে পুলিসের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে সোমবার লোকসভায় বিল আনল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এদিন কেন্দ্রের আনা এই ফৌজদারি প্রক্রিয়া (শনাক্তকরণ) বিলটির একযোগে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস, তৃণমূল ও আরএসপি। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ‘বেআইনি’ ও ‘অসাংবিধানিক’। বিরোধীদের দাবি মেনে বিল পেশ নিয়ে এদিন ভোটাভুটিও হয় লোকসভায়। তবে স্বাভাবিকভাবেই তাতে বিল পেশ আটকানো যায়নি। বিলটির পক্ষে ভোট দেন ১২০ জন। বিল পেশের বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৮টি।লোকসভায় এদিন বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র ‘টেনি’। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে ছেলে আশিস অভিযুক্ত হওয়ায় অজয় মিশ্রের ইস্তফার দা
বিতে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। এই অবস্থায় এদিন বিল পেশের সময় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর তীব্র বিতণ্ডা হয়। অধীরের তোপের মুখে পড়ে বিরোধীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান মিশ্র। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরীকে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে যদি একটিও মামলা থাকে, এক মিনিটও জেলে কাটিয়েছি বলে প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।

নয়া বিলটি আইনে পরিণত হলে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ফুট প্রিন্টের পাশাপাশি হাতের তালুর ছাপ, আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান, শারীরিক ও জৈব নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা চলে আসবে পুলিসের হাতে। সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পাশাপাশি এর আওতায় আনা যাবে কোনও অপরাধে নিছক অভিযুক্ত হলেও। মূলত সেই কারণেই মোদি সরকারের এই বিলকে দমনমূলক ও অসাংবিধানিক বলছে বিরোধীরা। যদিও ১০২ বছরের পুরনো বন্দি শনাক্তকরণ আইনের পরিবর্তে নয়া এই বিলকে আইনে পরিণত করতে মরিয়া কেন্দ্র। বিলের বিরোধিতা করে এদিন কংগ্রেস নেতা মণীশ তেওয়ারির আশঙ্কা, বিলে ‘জৈব নমুনা সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণে’র যে কথা বলা হয়েছে, তার মাধ্যমে নারকো অ্যানালিসিস ও ব্রেন ম্যাপিংয়ের রাস্তা পাকা করছে মোদি সরকার। এর ফলে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঘটবে। এই প্রচেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। বিলের বিরোধিতা করেন তৃণমূল এমপি সৌগত রায়ও। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, ভবিষ্যতে বেআইনি কাজে জড়াতে পারেন, শুধুমাত্র সেই সন্দেহের বশে সরকার কোনও ব্যক্তির শারীরিক মাপজোক নেওয়ার ক্ষমতা পুলিসের হাতে তুলে দিতে চাইছে। আরএসপি নেতা এন কে প্রেমচন্দ্রন বলেন, প্রস্তাবিত আইন ছোটখাট অপরাধে জড়িতদেরও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা তুলে দেবে পুলিসের হাতে। বিলের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে বিএসপিকেও। যদিও মন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি, নয়া প্রযুক্তির ব্যবহারে আইনি স্বীকৃতির মাধ্যমে অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজে দক্ষতা বাড়বে। গতি বাড়বে তদন্তের প্রক্রিয়ায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lok Sabha, #Criminal Bill

আরো দেখুন