নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গগনচুম্বী, মুখে কুলুপ মোদীর; খোঁচা বিরোধীদের
ক্রমবর্ধমান নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। একদিকে আকাশ ছোঁয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর অন্যদিকে নিরুত্তর দেশের সরকার, জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত! দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মাত্রাতিরিক্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মোদীকে আক্রমণ তৃণমূলের।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে, মোদী সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি টুইটারে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদ-ভীতিতে ভুগছেন, তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো বাস্তব সমস্যাগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হচ্ছে না।”
সেই সঙ্গে একটি তালিকার ছবিও পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কীভাবে এবং কী হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ওই ছবির মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে ৬৮.১৮ টাকার ডিজেল ৯৪.৬২ টাকায় পৌঁছেছে, পেট্রোলের দাম ৭৪.৮৯ টাকা থেকে বেড়ে ১০৯.৬৮ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ডালের দাম ১০০-এর গন্ডী পেরিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে চা পাতা, প্রতিটিই উর্ধ্বমুখী, যার ফলে ক্রয়ক্ষমতা মধ্যবিত্ত তথা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে পৌঁছে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয়ভাবেও অত্যন্ত সরব। জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিটি সভা থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শত বিরোধীতা সত্ত্বে নিরুত্তর মোদী সরকার। বলাইবাহুল্য, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি সরকারের এহেন দৃষ্টিভঙ্গি প্রমান করে সহনাগরিকদের জন্য আদৌ চিন্তিত নন মোদী এবং তাঁর সরকার।