করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ এর সংক্রমণের জায়গা অন্ত্র ও পাকস্থলী! দাবি বিশেষজ্ঞদের
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid 4th wave) বাইশ গজে সাকলিন মুস্তাকের ‘দুসরা’র মতো ঘোল খাইয়ে দিতে পারে। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন-পর্ব পেরিয়ে, লোকজন যখন ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফের একবার সতর্ক করলেন কলকাতার ভাইরোলজিস্টরা। করোনার চতুর্থ ঢেউ আসবে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে দ্বিমত থাকতে পারে। তবে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট BA.2 বা স্লিলথ ওমিক্রন (Stealth Omicron) নিয়ে উদ্বেগ তাঁরা গোপন রাখেননি। যদিও নয়া ভ্যারিয়েন্ট না বলে, BA.2-কে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টই তাঁরা বলছেন।
কোভিডের পরপর তিনটে ঢেউ পার করে, লোকজন করোনাভাইরাসের লক্ষণ সম্পর্কে সজাগ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, BA.2-র উপসর্গ (Omicron BA2) একেবারে ভিন্ন। করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলো ফুসফুস, শ্বাসনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে সংক্রমণের জায়গা অন্ত্র ও পাকস্থলী। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই অন্ত্র বা পাকস্থলী আক্রান্ত হলে, তার লক্ষণও আলাদা হবে। পেটের গন্ডগোল, বমি ভাব ও পেটেব্যথা। তবে, উপসর্গ দেখে উপেক্ষার উপায় নেই। কারণ, বিশেষজ্ঞদের অনেকেই দাবি করছেন, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের (Covid-19) হাত ধরেই আসতে চলেছে চতুর্থ ঢেউ।
কলকাতার বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি অনুযায়ী, চতুর্থ ওয়েভের সময় কোভিডের লক্ষণ সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে। আক্রান্তরা পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তার কারণ, ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টটি আরটি-পিসিআর টেস্টে সহজে শনাক্ত হয় না।
ভারতে এখনও BA.2 বা স্টিলথ ওমিক্রন মাথাচাড়া দেয়নি। তবে, হাতগুটিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকার উপায়ও নেই। কারণ, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি ইতিমধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েক’টি দেশে দ্রুততায় ছড়িয়েছে। তবে, প্রাণহানির আশঙ্কা না-থাকায়, আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই।
কলকাতার বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হলে সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গগুলি আগে দেখা যাচ্ছিল। BA.2-র ক্ষেত্রে এসব হচ্ছে না। পেটের সমস্যা হচ্ছে। ভাইরাস প্যাটার্ন পালটে পাকস্থলীকে সংক্রমিত করছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় যে সহজে ধরা পড়ছে না, তা-ও নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রফেসর ডাক্তার দীপেন্দ্র সরকার জানান, BA.2-র উপসর্গ মৃদুই হবে। সাধারণ সর্দিকাশির মতো। ক্ষতিকারক নয়।