হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসের শুভেচ্ছায় বানান বিভ্রাট রাজ্যপালের, কটাক্ষের বন্যা
মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মারাত্মক ভুল করে বসলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যা নিয়ে তীব্র বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন তিনি।
ঠিক কী ভুল করলেন রাজ্যপাল? বুধবার হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি নিয়ে টুইট করেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। লেখেন, “পরমব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুরের ২১১তম জন্মবার্ষিকীতে নতমস্তকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা। নিপীড়িত-বঞ্চিতদের উন্নয়নে নিজের জীবন অতিবাহিত করেছেন। তাঁর দেখানো পথে আমাদের মন থেকে দূর হয় হিংসা। জন্ম নিয়েছে আধ্যত্মিকতা।” আসলে টুইটের শুরুতেই ছিল মারাত্মক ভুল। হরিচাঁদের পরিবর্তে তিনি ইংরাজি বানানে লেখেন হরিচন্দ্র ঠাকুর। আর সেই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
নেটিজেনদের অনেকেই জগদীপ ধনখড়কে নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে আবার আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেন, এভাবে ভুল বানান লিখে বাংলা ও মতুয়াদের অপমান করছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। যদিও এরপরও টুইটটি ডিলিট করেননি তিনি।
ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) জন্মতিথি উপলক্ষে মঙ্গলবার ভারচুয়ালি উপস্থিত হয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে বিশেষ বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলে দেন, বর্তমান সময়ে যখন হিংসা বাড়ছে, মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, তখন হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শন সমাজের জন্য প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, জোর করে কারও রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করাটা সংবিধান বিরুদ্ধ। তাই রাজনৈতিক হিংসা এবং অরাজকতার বিরুদ্ধে সবার সরব হওয়া উচিত। রামপুরহাট কাণ্ড তথা রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।