হালাল মাংস কেনা রাষ্ট্রদ্রোহ! কর্ণাটক বিজেপির নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
আল্লাহকে নিবেদন করা হয়। হালাল মাংস হিন্দুদের কেনা উচিত নয়। এই দাবিতেই উত্তাল দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটক (Karnataka)। সম্প্রতি হিন্দু জনজাগৃত সমিতি, বজরং দল-সহ কর্ণাটকের বাকি হিন্দু অ্যাক্টিভিস্টদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় হালাল মাংস বন্ধের দাবিতে একটি ক্যাম্পেনিং শুরু হয়েছে। তাঁদের দাবি, হালাল মাংস (ban on Halal products) শুধু কর্ণাটকে নয় সারা দেশেই বন্ধ হওয়া উচিত। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
সামনেই দক্ষিণ ভারতের নববর্ষ। এই উগাধি ( Ugadi is a New Year celebration) উৎসবে প্রচুর পরিমাণে মাংস বিক্রি হয়। তার আগে হালাল মাংস বন্ধের দাবিতে একজোট হয়েছে ডানপন্থীরা। এই বিষয়ে শ্রী রাম সেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রমোদ মুথালিক বলেন, হিন্দুদের হালাল মাংস কেনা রাষ্ট্রদ্রোহীতা। কারণ এই মাংস বিক্রির টাকা দিয়েই জেলে থাকা জঙ্গি সংগঠনের অপরাধীদের ছাড়াতে ব্যবহার করা হয়। হালাল মাংস বয়কট করা উচিত।
হালাল মাংস বন্ধের দাবিতে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রবি বলেন, ইসলামদের ঈশ্বর’-কে দেওয়া হালাল মাংস মুসলিমদের কাছে প্রিয়। কিন্তু হিন্দুদের জন্য এটি কারও অবশিষ্টাংশ। তাই এই মাংস বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।
আগামী বছর কর্ণাটকে নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। হিজাবের পর এবার হালাল মাংস বিতর্ক। এই বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার হালাল মাংস বন্ধ করার দাবি খতিয়ে দেখবে। এখানে কোনও ডানপন্থী বা বামপন্থী নয়। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।