দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং থেকে ফ্লপ রাসেল শো, কী কী কারণে হারল কেকেআর?
মাত্র ১২৮ রানের পুঁজি নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্স যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারাবে, তেমন আশা খুব বেশিজনের ছিল না। তবে হার না মানা লড়াইয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে যান নাইটরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এক নজরে দেখে নিন কী কী কারণে ৩ উইকেটে ম্যাচ হারল কেকেআর।
যে কোনও ম্যাচেই ওপেনারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। ওপেনারর ভাল ভিত দিলেই তার উপরেই ইমারত গড়ে দল। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে এই ম্যাচে দুই নাইট ওপেনার বেঙ্কটেশ আইয়ার ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যর্থ। বেঙ্কটেশ ১০ ও রাহানে ৯ রানে আউট হন।
নিলামে বিশাল দামে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দলে নিয়েছিল আরসিবি। কেকেআরের বিরুদ্ধে কেন তাঁর জন্য এত দর হাঁকানো হয়েছিল, তা প্রমাণ করে গিলেন ওয়ানিন্দু। ২০ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নিয়ে কেকেআরের মিডল অর্ডারকে ধ্বংস করে দেন লঙ্কান তারকাই।
আন্দ্রে রাসেল এমন একজন ক্রিকেটার যিনি যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কেকেআর দ্রুত অনেক উইকেট হারিয়ে ফেললও এই ম্যাচে ব্যাট হাতে আক্রমণ করেই নাইটদের রক্ষা করতে চেয়েছিলেন রাসেল। তবে ১৪তম ওভারে ২৫ রান আউট হন তিনি। এত ওভারের যদি আধাও রাসেল খেলতেন তাহলেও স্কোর অনেকটাই ভিন্ন হত। আর বল হাতে তো রাসেলের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। মাত্র ২.২ ওভারে ৩৬ রান লুটিয়ে কেকেআরের পরাজয়ের সম্ভবত সবচেয়ে বড় কারণ তিনি।
সাধারণত বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী বরাবরই কেকেআরের তুরুপের তাস। তবে ভেজা বল হাতে এই ম্যাচে অল্প রানের পুঁজি নিয়ে নামা কেকেআরের হয়ে একেবারে ব্যর্থ বরুণ। নিজের চার ওভার শাহবাজের উইকেট নিলেও ৩৩ রান খরচ করেন তিনি।
১৮তম ওভারের প্রথম বলেই এক বিশাল বড় গড়বড় করে ফেলেন আরসিবির ব্যাটাররা। বোঝাপড়ার অভাবে দুই ব্যাটার দীনেশ কার্তিক ও হার্ষাল প্যাটেল একই দিকে ছিলেন। তবুও রান আউট করতে ব্যর্থ হয় কেকেআর। তাড়াহুড়োয় বল ঠিক দিকে ছোড়েননি উমেশ। সেই সময় যদি দীনেশ কার্তিককে রান আউট করা যেত, তাহলে ম্যাচের রঙই বদলে যেত। কারণ শেষমেশ ছয় ও চার মেরে কার্তিকই আরসিবিকে ম্যাচ জেতান।