ঢাকা ও কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মধ্যে গাঁটছড়া? জল্পনা তুঙ্গে ময়দানে
ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Dhaka Mohammedan Sporting Club) থেকে অতীতে কলকাতা মহামেডান স্পোর্টিংয়ে খেলে গিয়েছেন কান্নন, কাইজার হামিদ, রাইহান, মানিক, জনি, সালাউদ্দিনরা। আগামী দিনেও কি এমন ছবি দেখা যেতে পারে? যদি দেখাও যায় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর এবং ফুটবল সেক্রেটারি আবু হাসান চৌধুরী (Abu Hassan Chowdhury)। ওপার বাংলার ফুটবলমহল তাঁকে প্রিন্স নামেই চেনে।
বৃহস্পতিবার মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting Club Kolkata) ক্লাবের তরফে মেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, দুই বাংলার দুই ক্লাব কর্তার উপস্থিতিতে বেশকিছু পদক্ষেপ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘোষণাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর তথা ফুটবল সেক্রেটারি প্রিন্সের সঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ”কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পর্ক বহু পুরনো। আমার আব্বা প্রয়াত সিরাজুল হক চৌধুরী ঢাকা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আবার কলকাতা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেরও সাম্মানিক ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। আব্বার সময়েই মানিক, জনি, কাইজাররা খেলে গিয়েছেন কলকাতার মহামেডানে।”
ইস্টবেঙ্গল ও ওপার বাংলার বসুন্ধরা ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। দুই বাংলার দুই ক্লাব হাত ধরাধরি করে চলবে এমন কথাই জানানো হয়েছে দুই ক্লাবের তরফে। ঢাকা ও কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মধ্যে কি গাঁটছড়া হবে? প্রিন্স বলছেন, ”গাঁটছড়া তো হতেই পারে। তবে আমরা যেটা চাই, তা হল দুই বাংলার দুই মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব হাত ধরাধরি করে হাঁটবে। এপার বাংলার অনূর্ধ্ব ফুটবলাররা ওপারে যাবে, ওপারের ফুটবলাররা এপারে আসবে। ঠিক যেমন আগে হতো।” দুই বাংলার দুই মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায়, তার উত্তর দেবে সময়।
এই মুহূর্তে আই লিগে শীর্ষ স্থানে মহামেডান স্পোর্টিং। ৮ ম্যাচ খেলে ১৯ পয়েন্ট সাদা-কালো শিবিরের। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ঠিক পিছনেই রয়েছে গোকুলম। এক ম্যাচ কম খেলেছে কেরলের ক্লাব।