দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

এবার হরিণঘাটার ডিমের ওপরেই লেখা থাকবে দাম, তারিখ

March 31, 2022 | 2 min read

রাজ্যবাসীর রান্নাঘরে ন্যায্য মূল্যে ডিম পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সরকারি ডিমের গায়ে লেখা থাকবে তার সম্পূর্ণ ‘ঠিকুজি-কোষ্ঠী’। অর্থাৎ ডিমের দাম, উৎপাদনের তারিখ এবং সরকারি সংস্থার নাম ছাপা থাকবে খোলার গায়ে। গোটা দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও সরকারি সংস্থার প্রতিটি ডিমের গায়ে এই ‘অঙ্গসজ্জা’ চালু হবে। অন্তত এমনটাই দাবি পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম কর্তাদের। আগামী কাল, ১ এপ্রিল থেকেই বাজারে আসছে হরিণঘাটার এই অভিনব সাজের ডিম। বাজারে খুচরো ডিমের দাম মাঝে ৬ থেকে ৭ টাকা হয়ে গিয়েছিল। হরিণঘাটার ডিমের দাম তখনও সাড়ে ৪ টাকাতেই বেঁধে দিয়েছিল সরকার। অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই ডিম নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেছে। তাই সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে সরকারি ডিমের গায়েই দাম ছেপে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত।

নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, হরিণঘাটার কার্টনে (বড় বাক্স) দাম লেখা থাকে। কিন্তু বাক্স খুলে খুচরো ডিম বিক্রির সময় বিভিন্ন দাম নেওয়ার অভিযোগ আসে। তাই সব ডিমের খোলার গায়ে ৪.৫০ টাকা দাম, হরিণঘাটার ইংরেজি আদ্যক্ষর ‘এইচ’ এবং উৎপাদনের তারিখ লেখা থাকবে। তাহলে কালোবাজারি বন্ধ হবে। ডিম কতদিন খাওয়া যাবে, তারিখ দেখে সেটাও জানা যাবে।

নিগমের এই শীর্ষ কর্তার দাবি, এপ্রিলের মধ্যে হরিণঘাটা দৈনিক আড়াই লক্ষাধিক ডিম উৎপাদন করবে। ভিন রাজ্য থেকে ডিম আমদানি ২০২৩ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক বাংলা দেখার স্বপ্ন সাকার করার দিকেই এগচ্ছে নিগম।

ডিমের উপর নির্দিষ্ট তথ্যাদি লেখার নয়া মেশিন আমদানি করা হয়েছে। এগুলি ‘লেসার প্রিন্টিংয়ের’ মাধ্যমে গোলাপি রঙে লেখা হবে। গোটা রাজ্যে হরিণঘাটার ৬৩০টি কাউন্টার রয়েছে। মাংস ও মাছের আইটেম-সহ হেঁশেলের আরও অনেক সামগ্রীও সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় সেখান থেকে। সরকারি সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও পেশাদারিত্বে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম বস্তুত আপসহীন।

সংস্থার পণ্যগুলি সম্পর্কে ক্রেতাদের অভিমত জানতে একটি টোল-ফ্রি ফোন নম্বরও (১৮০০-১২০-৮২৪৩) চালু রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Eggs, #haringhata

আরো দেখুন