উৎকল দিবসে চেখে দেখতে পারেন এই ৭টি ওডিয়া খাবার
আজ উৎকল দিবস। ওড়িয়ারা নিজেদের পৃথক প্রদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে এই দিনটি। ওড়িশা জগন্নাথ দেবের পবিত্র ভূমি। এই রাজ্য এর সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের জন্যে পরিচিত হলেও, এখানকার খাবার অন্যান্য রাজ্যের মতো জগৎজোড়া খ্যাতি পায় নি। কিন্তু ওড়িশারও আছে জিভে জল আনা বহু খাবার- দাবার। যা জীবনে একবার অন্তত সবারই চেখে দেখা উচিৎ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ওড়িশার সেরকমই কিছু জিভে জল আনা পদঃ
রাই মাছা
এই পদটি মূলত মাছ প্রেমীদের জন্যে। অনেকটাই বাংলার সরষে মাছের মতো। সাদা সরষে এবং কাঁচা লঙ্কাই এই পদের মূল উপকরণ। ওড়িশা গেলে এই পদটি একবার খেয়ে দেখতেই পারেন। পস্তাবেন না।
মটন মুড়ি
এ এক অদ্ভুত যুগলবন্দী। সচরাচর দেখা যায় না। মটনের মতো এক রাজকীয় খাবারের সাথে মুড়ির মতো অত্যন্ত গরিব খাবারের এই মেলবন্ধন জিভে আনে এক অসাধারণ উন্মাদনা।
রসগুল্লা
বাংলার রসগোল্লা আর ওড়িশার রসগুল্লার মধ্যে পেটেন্ট নিয়ে বিবাদের কথা কার না জানা! শেষ হাসি বাংলার রসগোল্লা হাসলেও স্বাদের দিক থেকে রসগুল্লার খ্যাতিও কিন্তু মলিন হয়ে যায়নি। রসগোল্লা যেমন সাদা হয়, রসগুল্লা হয় খানিকটা লালচে রঙের। মুখে দিতেই মিলিয়ে যায়।
আম্বুলা রায়তা
এই পদ জিভের প্রতিটি স্বাদকোরককে সন্তুষ্ট করবে। টক, ঝাল, মিষ্টির এক অমাইক মেলবন্ধন।কাঁচা আম, দই, নারকেল এবং ভাজা সরষে দিয়ে তৈরি হয় এই চাটনি। সাধারনত পার্শ্বপদ হিসেবে পরিবেশন করা হয় এই বিশেষ পদটি।
ছেনা জিল্লিপি
ছানা ভেজে চিনির রসে ডুবিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি। একবার এই মিষ্টি খেলে এর প্রেমে পড়ে যাবেন। বার বার খেতে ইচ্ছে করবে।
রসবলি
বালাদেবজেউ মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় মিষ্টি। ক্ষীড় এবং এলাচ এই মিষ্টির মূল উপকরণ। এই মিষ্টির স্বাদ একবার পেলে কেউ আর ভুলবে না।
বড়ি চুড়া
বড়িকে গুড়ো করে বিভিন্ন মশলা, রসুন এবং অনেক কাঁচা লঙ্কাকে হামালদিস্তায় বেটে তৈরি করা হয় এই পদ। রোজকার ভাত, ডালের একঘেয়েমিতে নতুনত্বের ছোঁয়া আনতে এই পদের জুড়ি মেলা ভার।
ধেনকানাল বড়া
সম্বর ডাল এবং দই দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই পদ। ওড়িশার একটি ছোট্ট জেলার নাম ধেনকানাল। ওখানে কখনও গেলে একদম মিস করবেন না এই ‘লোকাল ডেলিক্যাসি’।