সংসদের উচ্চকক্ষেও প্রধান বিরোধী তকমা হারাতে পারে কংগ্রেস?
কংগ্রেসের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন, যে সংসদের উচ্চকক্ষেও বিরোধী তকমা হারাতে হতে পারে তাদের। শুক্রবার একসঙ্গে রাজ্যসভায় ১৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জন নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। অসমের দু’টি আসন এবং ত্রিপুরার একটি আসনে শুক্রবার নির্বাচন হয়। এই তিনটি আসনেই বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা জয়ী হয়েছে।
অসম বিধানসভার শক্তি অনুযায়ী, দুই আসনের মধ্যে একটি জেতার কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু শেষপর্যন্ত বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোট করায় সহজেই দ্বিতীয় আসনটিতেও জয়ী হন বিজেপি মনোনীত ইউপিপিএলের প্রার্থী। যার ফলে এই প্রথমবার অসম থেকে কংগ্রেসের একজনও রাজ্যসভার সদস্য থাকছেন না। একটা সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও অসম থেকে কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন। অন্যদিকে ত্রিপুরাতেও বামপ্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি।
যার ফলে ১৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতল ৪টি আসনে। একটি জিতল বিজেপির জোটসঙ্গী ইউপিএলএল। পাঞ্জাবের পাঁচ আসনে আম আদমি পার্টি আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। বামেরা জয়ী হয়েছে কেরলের দুটি আসনে। কংগ্রেস জিতেছে কেরলের একটি আসনে। এই পর্বের ভোটে সবচেয়ে বেশি লাভবান আম আদমি পার্টি। এই ১৩টির মধ্যে একটি আসনও তাদের দখলে ছিল না। তারা জিতল পাঁচটিতে। আগে বিজেপির দখলে ছিল মাত্র একটি। তাদের লাভ হল চার আসনে। অন্যদিকে সবচেয়ে বড় লোকসানটা হল কংগ্রেসের। পাঁচ আসন থেকে তারা নেমে এল মাত্র একে।
এই ৪ আসনে জয়ের ফলে বিজেপি রাজ্যসভায় ১০০ আসন ছুঁয়ে ফেলল। ইতিহাসে এই প্রথমবার বিজেপি রাজ্যসভায় একক শক্তিতে তিন সংখ্যায় পৌঁছল। পাশাপাশি এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা ম্যাজিক ফিগারের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেল।
শেষবার ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস রাজ্যসভায় একক শক্তিতে ১০০ ছুঁয়েছিল। সেই কংগ্রেস আপাতত রয়েছে ২৯ আসনে। আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে আরও প্রায় ৬০টি আসন ফাঁকা হওয়ার কথা রাজ্যসভায়। ওই নির্বাচনগুলির উপর নির্ভর করছে কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী দলের তকমা আদৌ থাকবে কিনা। এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূল। তাদের দখলে ১৩টি আসন। ডিএমকের ১০ এবং আপের ৮ জন সাংসদ রয়েছেন সংসদের উচ্চকক্ষে।