করোনাবিধি তুলতেই দেশজুড়ে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, চতুর্থ ঢেউয়ের আতঙ্ক!
কেন্দ্রের অনুরোধ মেনে আজ থেকেই দেশের অধিকাংশ রাজ্যে প্রত্যাহার হয়ে গেল করোনা বিধি। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বাংলার মতো রাজ্যগুলি বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে করোনা বিধি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো একসময়ের অত্যধিক প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে আর মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক নয়। দেশজুড়ে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দিন অবশ্য নামমাত্র হলেও বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৫ জন। যা আগের দু’দিনের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি। তবে এদিনও কমেছে দেশের অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে ১৩ হাজার ৬৭২। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৩ শতাংশ। তবে করোনা এখনও কেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের প্রাণ। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ জন। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে বেশি। ফলে দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ১৮১ জন।
দেশের সুস্থতার হার অবশ্য আরও স্বস্তিদায়ক জায়গায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৯১৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮৪ কোটি ৩১ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২৩ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। বুস্টার ডোজ পাচ্ছে ষাটোর্ধ্বরাও।
টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ৬ হাজার ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।