রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, দেশের প্রধান বিচারপতির তিরস্কারের মুখে সিবিআই
এবার দেশের প্রধান বিচারপতির তিরস্কারের মুখে পড়ল সিবিআই (CBI)। রাজনৈতিক নেতারা আসবেন-যাবেন, কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগের অধিকারিকরা থেকে যাবেন অনেকদিন। তাই নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার দায় অধিকারিকদেরই নিতে হবে। অফিসারদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সাধারণ মানুষ-সহ সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। সেই সঙ্গে পুলিশের দুর্নীতির উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) বলেন, “বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কখনও এমন হয়েছে পুলিশ অফিসাররা হেনস্তার সম্মুখীন হয়েছেন।” কিন্তু তাতে দমে যাওয়া উচিৎ নয় বলে মত রামানার। তিনি জানিয়েছেন,”এই সময় সিবিআই-এর উচিৎ সমাজে নিজেদের হারিয়ে যাওয়া সম্মান, বৈধতা এবং মানুষের বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা।” প্রধান বিচারপতির মতে , “যদি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত না ভাঙেন, তাহলে সাধারণ মানুষের ভরসা কোনওদিন ফিরে আসবে না।”
একটি আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি জানান, সংবিধানে পুলিশ বা গোয়েন্দাদের সেরকম ভাবে আইনি সমর্থন দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই হয়তো পুলিশের ক্রমাগত অবক্ষয় হয়েছে। তিনি আরও জানান, “একটি সংগঠন তৈরি করা উচিৎ, যারা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকবে। এই সংগঠনের আওতায় থাকবে সিবিআই-সহ অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
সাম্প্রতিক অতীতে সিবিআই আদৌ নিরপেক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, সঠিক সুযোগ সুবিধা বা পরিকাঠামো নেই তদন্তকারী দলগুলির কাছে। পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে প্রমাণ সংগ্রহেও ঘাটতি থেকেই যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। তবুও রামানা মনে করেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে বেরোতে না পারলে সিবিআই মর্যাদা ফিরে পাবে না।