রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এবার গোরক্ষকদের থেকে সরাসরি বেশি দামে দুধ কিনবে রাজ্য সরকার

April 1, 2022 | 2 min read

গোপালকদের জন্য সুখবর। দুধের দাম কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়াল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে। আগে ৩১ টাকা কেজি দরে স্ট্যান্ডার্ড দুধ বিক্রি করতেন গোপালকরা। কিন্তু, এবার থেকে তাঁরা ৩৪ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করতে পারবেন। এরফলে রাজ্যের লক্ষাধিক গোপালক উপকৃত হবেন। তারসঙ্গে দুধ সংগ্রহের পরিমাণও বাড়ানো হবে। দুধের দাম বাড়ার খবরে খুশি গোপালকরা। জেলায় জেলায় মিল্ক ইউনিয়নের মাধ্যমে সরাসরি গোপালকদের কাছ থেকে দুধ কিনে নেওয়া হবে। তারপর সেই দুধ থেকে তৈরি নানা দুগ্ধজাত সামগ্রী খোলা বাজারে আসবে। তারসঙ্গে বাংলার ডেয়ারিতেও সরবরাহ হবে জেলা থেকেই।

বাঁকুড়ার কংসাবতী মিল্ক ইউনিয়নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মৃন্ময় নাথ বলেন, এতদিন ৩১ টাকা কেজি দরে দুধ কেনা হতো। কিন্তু, আজ, শুক্রবার থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে দুধ সংগ্রহ করা হবে। গোটা রাজ্যেই নতুন এই দামে গোপালকদের কাছ থেকে দুধ কেনা হবে। আগের তুলনায় দুধ কেনার পরিমাণও বাড়ানো হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার গোপালক সরাসরি কংসাবতী মিল্ক ইউনিয়নকে দুধ বিক্রি করেন। করোনা পরিস্থিতির আগে ৩১ টাকা কেজি দরে স্ট্যান্ডার্ড দুধ কিনত কংসাবতী মিল্ক ইউনিয়ন। প্রতিদিন সকাল ও বিকেল মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার লিটার দুধ কেনা হতো। কিন্তু, এবার প্রায় ৪০ হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ কেনা হবে। দুধ বিক্রির সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে গোপালকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা পেয়ে যাবেন। শুধু বাঁকুড়া নয়, রাজ্যের লক্ষাধিক গোপালক এই বাড়তি টাকা আজ থেকে পাবেন। এর ফলে অনেকটাই উপকৃত হবেন গোপালকরা।

কংসাবতী মিল্ক ইউনিয়নের ফিল্ড অফিসার সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, জেলায় প্রায় ৩৫০ দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির মাধ্যমে গোপালকদের কাছ থেকে রোজ দুধ কেনা হয়। ৪.৫ ফ্যাট ও ৮.৫ সলিড নট ফ্যাট পরিমাণে দুধের দাম আজ, শুক্রবার থেকে ৩৪ টাকা হচ্ছে। রাজ্য সরকার দুধ সংগ্রহের দাম বাড়ানোয় গোপালকদের অনেকটাই সুবিধা হবে।

তালডাংরার সাবড়াকোণের গোপালক প্রতিমা পাল বলেন, বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানো বড় কষ্টের। গোপালনেও বিস্তর খরচ রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২০ লিটার দুধ কংসাবতী মিল্ক ইউনিয়নকে সমবায়ের মাধ্যমে বিক্রি করি। দাম তিন টাকা বাড়ানো হলে কিছুটা উপকার হবে।

গোপালকদের একাংশের দাবি, জেলায় গোপালনের কিছু পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এক্ষেত্রে গোপালকদের উন্নত ঘাস বীজ ও গোরুর ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। তারসঙ্গে সমবায়গুলিতে নজরদারিও প্রয়োজন। জেলার কিছু ব্লকে আরও সমবায় খোলার দাবিও রয়েছে। সারেঙ্গার গোপালক মৃত্যুঞ্জয় দে বলেন, এলাকার বেশিরভাগ মানুষই গোপালন করে রোজগার করছেন। নতুন বর্ধিত দামে জঙ্গলমহলের মানুষের কিছুটা আর্থিক উন্নতি হবে। তবে পরিকাঠামোগত ত্রুটিগুলি সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি, সরকার এবিষয়ে নজর দেবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Milk, #cow man

আরো দেখুন