বাটলারের শতরানের ওপর ভর করে মুম্বইকে ২৩ রানে হারাল রাজস্থান
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলারের শতরানে ভর করে ১৯৩ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সঞ্জু স্যামসন এবং শিমরন হেটমেয়ার ছাড়া কারও রান দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছয়নি। শনিবার বাটলার একাই হারিয়ে দিয়ে গেলেন রোহিত শর্মাদের।
বাটলারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন যশস্বী জয়সবাল। মাত্র ১ রান করে ফিরে যান তিনি। তিন নম্বরে নেমে দেবদত্ত পাড়িক্কল করেন ৭ রান। দুই ব্যাটার কম রানে ফিরে গেলেও তত ক্ষণে বাটলার ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সঞ্জু নামার পর দু’জনে মিলে ৮২ রান যোগ করেন। ২১ বলে ৩০ রান করেন রাজস্থানের অধিনায়ক। হেটমেয়ার ১৪ বলে ৩৫ রান করেন। ১৯তম ওভারে বাটলার এবং হেটমেয়ারকে ফিরিয়ে দেন যশপ্রীত বুমরা। কিন্তু তত ক্ষণে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বড় রান করে ফেলেছে রাজস্থান।
১৯৪ রান তোলার জন্য রোহিতের ব্যাটে রান প্রয়োজন ছিল মুম্বইয়ের। কিন্তু ৫ বলে মাত্র ১০ রান করেই ফিরে যান রোহিত। ঈশান কিশন ৫৪ রান করলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। তবে শনিবারের ম্যাচে নজর কাড়েন তিলক বর্মা। ৩৩ বলে ৬১ রান করেন তিনি। হায়দরবাদের ১৯ বছরের এই অলরাউন্ডারকে ১.৭ কোটি টাকায় কিনেছিল মুম্বই। সব চেয়ে কম বয়সে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অর্ধশতরানের কৃতিত্ব গড়লেন তিলক। তবে ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
বল হাতে রাজস্থানের হয়ে নজর কাড়েন যুজবেন্দ্র চহাল। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। একই ওভারে ফিরিয়ে দেন টিম ডেভিড এবং ড্যানিয়েল স্যামসকে। পর পর দুই বলে সেই উইকেট নেন ভারতীয় স্পিনার। হ্যাটট্রিক করতেই পারতেন, যদি না করুণ নায়ার স্লিপে ক্যাচ ফেলে দিতেন।
মুম্বইয়ের হয়ে পোলার্ড শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল যে ইনিংসটা খেলে গিয়েছিলেন, সেটা পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার।